অনেক কিছুতে সচেতন থাকতে গিয়ে আমরা অনেক সময় স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ব্যাবস্থাপনায় ব্যার্থ হই । অবশ্যই পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার অনেক গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয় ,কিন্তু আমরা যদি নিজেরা শারীরিক এবং মানষিকভাবে সুস্থ না থাকি ,তাহলে কোনো কিছুই ঠিকমত করা সম্ভবপর হয়না ।

আমরা আমাদের আশেপাশে অনেক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম দেখি ।কিন্তু এতো কিছুর পরেও আমরা অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে নিজেদেরকে মুক্তি দিতে পারছিনা  বরং দিন দিন আমাদের  রোগ এবং রোগীর  সংখ্যা বেড়েই চলেছে । এর পেছনে মূল কারন হলো, আমাদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা। তাই রোগ নিয়ে যেমন জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির দরকার আছে, ঠিক তেমনি রোগের পেছনের কারন গুলোও আমাদের সবার সামনে তুলে ধরতে হবে, যাতে করে সবাই নিজেদের জীবনধারা এবং  খাদ্যাভাস এর পরিবর্তন করতে পারে।শুধুমাত্র জীবনধারা পরিবর্তন করেই আমরা আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি এবং অনেক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারি।

প্রতিবছর breast cancer awareness month এ কিভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সার সনাক্ত করতে হবে সেটা নিয়ে অনেক তোড়জোড় চলে। কিন্তু জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে কত সহজেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের মত ভয়ানক অসুখ আমরা অনেক সহজেই প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করতে পারব ,সেটা নিয়ে খুব বেশি একটা ক্যাম্পেইন আমরা দেখেতে পাইনা। রোগের পেছনের কারন বের করে, আসলেই রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করা খুব সহজ।

যে পাচটি প্রধান কারনে হরমোন জনিত ব্রেস্ট ক্যান্সার মেয়েদের হয়ে থাকে ,তার পেছনের একটি অন্যতম প্রধান কারন হলো কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation) । এটি একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা, যখন একজন ব্যক্তি সহজে মলত্যাগ করতে সক্ষম হন না। সাধারণত এক-দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত। কেউ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরও প্রতি সপ্তাহে তিনবারের কম পায়খানা হয়, তখনই এই অবস্থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এ অবস্থায় পায়খানায় দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও মল পরিষ্কার হয় না।

কেনো কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation) হয়ঃ

  1. যখন আমাদের খাবারের তালিকায় আশযুক্ত খাবার থাকেনা অথবা পরিমানে খুব কম থাকে
  2. পরিমিত পরিমানে পানি পান না করলে অথবা খুব কম পরিমানে পানি পান করলে
  3. নিয়মিত হাটা চলাফেরা বা  শরীর চর্চা/ব্যায়াম না করা
  4. উদ্বেগ এবং বিষন্নতায় ভোগা
  5. বেশি পরিমানে চিনি ,লবন ,জাংক ফুড, ফাস্ট ফুড খাওয়া
  6. কম ঘুম
  7. Tension, stress, negativity, inferiority complex, unproductive lifestyle and jealousy etc.
  8. কাজের চাপ এর সাথে ব্যাক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের সমন্বয় ঘটাতে না পারা।

আমাদের খাদ্যতালিকায় যখন সবকিছু পরিমিত পরিমানে থাকেনা এবং আমরা অনেক উল্টাপাল্টা খাবার খাই,তখন আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত পদার্থ তৈরী হয় ।আমরা যাই খাই না কেনো ,তা কোলন এর মাধ্যেমে বের হয়ে আসে ,তাকে আমরা মল বলে থাকি ।কিন্তু এই টক্সিক পদার্থ যখন বেশি সময় ধরে কোলনে থাকে ,আমাদের শরীরে অনেক বিষাক্ত পদার্থ তৈরী হয় ,সহজেই মল হিসেবে বেরিয়ে আসতে পারেনা ,আর এই অবস্থাকেই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation) বলে থাকি। আর এর সামগ্রিক ফলাফল পরে মেয়েদের হরমোন Estrogen(সেক্স হরমোন) এর উপর ,তখন মেয়েদের শরীরে Estrogen Dominance দেখা দেয় ,যা হরমোন জনিত ব্রেস্ট ক্যান্সার এর প্রধান কারন। কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation) হলে অনেকে laxative খেয়ে থাকেন ,কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান না  কেননা এটা শুধুমাত্র উপসর্গকে নিয়ন্ত্রন করে ।আমরা চাইলেই স্থায়ীভাবে  কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation) কেই নিয়ন্ত্রন করতে পারি,যদি আমরা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় নিজেকে অভস্থ্য হই।

তাই আমরা যদি কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation) কে প্রতিরোধ করতে পারি ,তাহলে Estrogen লেভেল কে সঠিকভাবে শরীরে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো এবং হরমোন জনিত ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ আরো অনেক ক্ষতিকর রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকারে সক্ষম হব। তাই আগেই বলেছি ,শুধুমাত্র জীবন যাত্রাকে পরিবর্তন করে এবং নিয়ন্ত্রন করেই আমরা রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করতে সক্ষম।

#Challenge_yourself