প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথে বাধা সম্মুহঃ

১) সামাজিক বিভিন্ন বাধার কারনে অনেক অবিবাহিতরা এবং তাদের পরিবারর অনেকেই  মনে করে থাকেন ,এটা নিয়ে কথা বলা বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই ।

২)অনেকে আবার  লজ্জ্বা পেয়ে, প্রজনন স্বাস্থ্য  সমস্যায় পড়লে চুপ করে থাকেন ,সবার কাছ থেকে আড়াল করে রাখেন।

৩) গায়নোলজিক্যাল সমস্যা এবং  অসুখ শুধু বিবাহিতদের হয়-এমন ধারনা এখনও আমাদের সমাজে প্রচলিত।   এখনও একটি কুসংস্কার প্রচলিত আছে যে , প্রজনন স্বাস্থ্য জনিত অসুখ জেনিটাল ইনফেকশনের কারনে হয় ,যে ইনফেকশন শুধু যাদের শারীরিক সম্পর্ক আছে তাদেরই হয়। এরকম কুসংস্কার আমাদের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় ,সমাজ এবং পরিবারে প্রচলিত থাকায় অনেক অবিবাহিতরা নিজেদের মান সম্মানের ভয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে চান না অথবা পরিবার ,বন্ধু-বান্ধব,কাছের মানুষের সাথে আলোচনা করতে চান না ,জানাতে চান না ।এতে করে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য আরো ঝুকিপূর্ন অবস্থায় চলে যাচ্ছে ।

 

৪) নিজের প্রজনন স্বাস্থ্যের সমস্যা  এবং রোগের কথা জানলে মেয়েকে বিয়ে দিতে সমস্যা হবে ,এজন্য পরিবারের চাপে অনেক সময় অনেকেই সঠিকভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থের পরিচর্যা করতে পারেননা ।

৫) অনেক সময় যদি প্রজনন স্বাস্থ্যজনিত রোগের উপসর্গ দৃশ্যমান কিন্তু সহ্য করার মত হয় ,অনেকেই আর চিকিৎসা গ্রহন করতে চান না ।কিন্তু এর ফলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।

৬) সর্বোপুরি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা সম্মুহ এমনভাবে সাজানো হয়েছে ,যেখানে শুধু বিবাহিতরাই স্বাচ্ছন্দে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন।

৭) আর আরেকটা সমস্যা তো আমদের আছেই ,আর সেটা হলো, “লোকে কি বলবে”। আর তাই মানুষ কি ভাববে ,এই চিন্তায় অনেক সময় আমাদের প্রজনন স্বাস্থ্যকে ঝুকির মুখে ফেলি।

আমরা এই বাধাকে করবো জয় । আমরা করব জয়। আসুন প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে জানি ,কথা বলি এবং অন্যকে জানাই ,যারা প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের পাশে দাড়াই , সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই এবং কুসংস্কারকে না বলি ।