কি পড়বো – “সায়েন্স”, “আর্টস” নাকি “কমার্স”?

যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের আশেপাশের সবকিছুই বদলে গেছে। তাই একবিংশ শতাব্দীর দাড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে তোমাকে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি দক্ষ হতে হবে। ঠিক যখন তোমাকে ” চতুর্থ শিল্প বিপ্লব” এর জন্য তৈরী করার কথা, ঠিক তখনি ছোট শহর, জেলা, উপজেলার স্কুলে পড়ার কারনে তোমাকে সাইন্স না পড়লে “খারাপ স্টুডেন্ট ” এর ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলের অনেক জুনিয়রদের সাথে কথা হয়েছে, যারা অনেক কস্ট নিয়ে বলেছে “কেউ যদি আর্টস অথবা কমার্সে পড়ে, বিশেষ করে আর্টস এ, তাহলে তাদের কিভাবে কথা শোনানো হয় “,তাই market survey করেই বাস্তবতার আলোকে কিছু সত্যি কথা লিখছি।

প্রথমে আসি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথায়।প্রাচীন কালে গরুর গাড়ি দিয়ে হাল চাষ করা হত, এর পর ট্রাক্টর আবিস্কার হলো, এরপর অনেক নিত্যনতুন আবিষ্কারের ফলে আমরা এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছি, এভাবে ধাপে ধাপে ১ম, ২য়, ৩য় শিল্পবিপ্লব পেরিয়ে আমরা ২০২১ সালে ৪র্থ শিল্পবীপ্লবে পদার্পণ করতে যাচ্ছি।

কেমন হবে এই নতুন শতাব্দীর তোমাদের জন্য? অবশ্যই অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, তবে ভয় পাবার কারন নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য দক্ষতা তোমাকে নিয়ে যাবে অনেক দূরে। আর এই ৪র্থ শিল্পবীপ্লবে ৩৭% নতুন জব আসবে, যা এখনকার জব মার্কেটেই নেই। বুঝতে পারছো? তোমাকে কতটা যুগোপযোগী হতে হবে? Technological advancement এর সাথে তোমাকে পানির মত হতে হবে। পানির ধর্ম মনে আছে? তরল পদার্থকে যে পাত্রে রাখা হয়, সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তোমাকে একদম সেরকম হতে হবে। আর ইন্টারনেট তোমাকে সেই সুযোগ করে দিবে।তুমি ঘরে বসেই যেকোনো কিছু অনলাইনে শিখতে পারবে এবং বিশ্বের কোথায় কি হচ্ছে সেটা জানতে পেরে নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে পারবে। ইন্টারনেট মানেই ফেসবুকিং, এই স্বভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এবার আসি আসল কথায় , কি পড়বে, কি পড়বো – “সাইন্স”, “আর্টস” নাকি “কমার্স”? আমি খুব ভালো করেই জানি, ছোটো শহরগুলোতে এই তিনটি বিভাগ নিয়ে অনেক বিভেদ এবং বৈষম্যের শিকার হতে হয় ছাত্র ছাত্রীদের। যাদের রেসাল্ট খুব ভালো হয়, তাদেরকে সাইন্স পড়তে দেয়া হয়, আর অনেক স্কুলে কমার্স নেই তাই অনেকেই আর্টস এ পড়ে। কিন্তু তাদেরকে নানা ভাবে অপমান করা হয়, যেখানে বড় বড় শহরে এমনকি দেশের বাইরে, students রা ইচ্ছা করেই আর্টস পড়ে থাকে।

আমি আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় যা বুঝি, সেটা হলো আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থ্যা and জব সেক্টর এর মধ্যে অনেক সমন্নয়হীনতা। তুমি পাঠ্য বইয়ে যা পড়ছো সেটা তোমাকে পরবর্তী জীবনের জন্য সম্পুর্নরুপে প্রস্তুত করতে পারবে না। তাই তোমাকে অনেক সহশিক্ষা কার্যক্রম এর সাথে সমপৃক্ত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্তাতেই বাইরের পরিবেশের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে, জব ইন্টারভিউ তে একটা ভালো সিভি নিয়ে যেতে হবে, এজন্য তোমাকে পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক কাজ করতে হবে।

যেহেতু সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলের আর্টস এর Students এর কিছু status আমি দেখেছি, এবং অনেকের সাথে কথা হয়েছে, তাই নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শুধু আর্টস নিয়েই লিখছি। কারণ সাইন্স অথবা কমার্সের শিক্ষার্থীদের কথা একটু কম শুনতে হয়।

জীবনবোধ শেখাতে পারে এবং নিজের দেশের ইতিহাস জানাতে সক্ষম এমন কোন সাব্জেক্ট যদি থেকে থাকে, তাহলে সেটা শুধুমাত্র “মানবিক বিভাগের” শিক্ষার্থীরাই উপভোগ করতে পারে। অন্য সাব্জেক্টে এটা সম্ভব নয়।

আজকের দিনে, কোন সাব্জেক্টে পড়লাম, সেটা কোনো বিষয়ই না। তোমার যদি নিজের পছন্দ না হয় কোনো সাব্জেক্ট সেটা আলাদা কথা। কিন্তু আর্টস পড়লে ভবিষ্যত নাই, এটা সম্পুর্ন ভুল। আমাদের জব সেক্টর নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সিনিয়রদের কোনো ধারণা নেই, তাই অনেকেই মনে করেন সাফল্য মানেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। তাই সাইন্স এর প্রতি সবার ঝোক থাকে। অনেক মা বাব জোড় করে ছেলে মেয়েদের সাইন্সে পড়তে বাধ্য করেন, এতে করে ওরা আরো আগ্রহ হারায়, রেসাল্ট খারাপ করে। সম্প্রতি এমন কিছু জুনিয়রদের সাথে কথা হয়েছে, যারা সাইন্স থেকে কমার্সে আসতে চাচ্ছে, কিন্তু মা বাবা সম্মতি দিচ্ছেন না।

আর্টস পড়ে তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ভালো ভালো সাব্জেক্টে পড়াশোনা করতে পারবে। এই যেমন, International Relationship (IR), অর্থনীতি, পলিটিক্যাল সাইন্স, Law (আইন), literature etc. এ ছাড়াও তুমি বিজনেস স্টাডি তেও চলে আসতে পারো। সাইন্স পড়েও অনেকে বিবিএ পড়ে। তাহলে আগে থেকে বিজনেস পড়লেই তো হতো, এতো কস্ট করে সাইন্স পড়ার দরকার টা কি ছিলো? ওই যে বললাম,তোমাদের গাইড করার মত কেউ নেই, জব সেক্টর সম্পর্কে অনেকেই জানে না, যার কারনে সবাই চায় তুমি সাইন্স পড়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হও, কমার্স পড়ে ব্যাংকার হও। অনেক বুয়েটে পড়া ইঞ্জিনিয়ার ও তো ব্যাংকে জব করেন, ক্যামিস্ট্রি পড়া সাইন্টিস্ট রা ব্যাংকে জব করেন। তাহলে সমীকরন কি দাড়ালো? সাব্জেক্ট এর উপর তোমার জব সেক্টর নির্ভর করে না। তোমার ইচ্ছা, আশেপাশের পরিবেশ এবং সুযোগ সুবিধার সাথে অনেক কিছু বদলে যায়।

বড় শহরগুলোতে এখন অনেক career and skill development program হয়। শিক্ষার্থীরা সেখনে যেতে পারে, জানতে পারে। সমস্যা হয় জেলা উপজেলা পর্যায়ে। অনেক জায়গায় হচ্ছে, কিন্তু যেভাবে হওয়া দরকার, সেভাবে হচ্ছে না, ততবেশি হচ্ছেনা। আর যারা ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যায়, ভালো অবস্থানে চলে যায়, তাদের উচিত স্থানীয় স্কুল কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করে, তাদের দিকনির্দেশনা দেয়া, তাদের নিয়ে কাজ করা। আর কেউ না থাকলে ইন্টারনেট তো আছেই, বাংলাদেশের বড় বড় যত ইভেন্ট হয়, সেখানের সব স্পিকার দের কথা ইউটিউবে আছে।

আর সর্বোপুরি,আমার মনে হয়, শিক্ষার্থীদের চেয়ে মা-বাবা দের বেশি গাইড করা দরকার, তাহলেই শিক্ষার্থীদের উপর এই মানসিক চাপ কমবে। তাই এসব career development program মা বাবাদের জন্য আয়োজন করা উচিত।

তাই আজকে তোমারা যারা আর্টস এ পড়ছো, তোমাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য লিখতে বসেছি। মানুষের কথায় কান না দিয়ে, ভালো করো পড়াশোনা করো। যেই সাব্জেক্টে পড়ো না কেনো, ভালো কিছু করার সুযোগ সবসময় ই আছে এবং থাকবে। কেউ হয়তো ৯ টা পাচটা জব করবে আর্টস এর সাব্জেক্টে পড়ে, কেউ ব্যাবসা করবে, কেউ সরকারী জব করবে, কেউ প্রশাসন এর অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ করবে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয় অথবা স্কুল এর টিচার হবে, কেউ গবেষনা করবে। এতো পথের হাতছানি, কে কি বললো সেটাতে মন খারাপ করবে কেনো? উঠে দাড়াও, আয়নার সামনে যাও, নিজেকে দেখো, নিজের সাথে কথা বলো, নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, এবং এগিয়ে যাও। চলার পথে খুব ক্লান্ত হয়ে গেলে একটু থেমো, বিশ্রাম নিও, তবে অন্য মানুষের কথায় থামা যাবে না।

আর আমি তোমাকে বলব, “তরুন উদোক্তা হও”, জব করবনা বরং জব দিবো, এমনটা ভাবতে শিখো। আমাদের দেশে এখন অনেক তরুন উদ্যোক্তা দরকার, যারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। কিভাবে পারবে, সেটাও একটু বড় হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখলেই বুঝতে শিখে যাবে, আপাতত পড়াশোনায় মন দাও।নিজের শখের কাজ গুলো করতে থাকো। তুমি যদি কার্টুন ভালো আকতে পারো, এটাই হতে পারে তোমার ক্যারিয়ার। এই বছরে ” ফোর্বস ম্যাগাজিন ” বিশ্বের যেসব প্রভাবশালী তরুন উদ্যোক্তা দের নাম প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের কার্টুনিস্ট মিশু ভাইয়া”। সে একজন সফল উদ্যোক্তা, কিন্তু সে কি করে? শুধু কার্টুন আকে। কিন্তু তার জন্য আজ বাংলাদেশের এর নাম সবাই আবার জানলো।

তারপর আমার এক পরিচিত আপু, উনি সম্প্রতি হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি করে এসেছেন, জানতে চাও উনি কি করেন? উনি মিস্টির কার্টুন ডিজাইন করে ?, উনিও একজন সফল উদ্যোক্তা। তোমার যদি কোনো আইডিয়া থাকে, সেটা নিয়ে তুমি কাজ করলেই দারুণ কিছু হবে, সমাজের অনেক সমস্যাকে সনাক্ত করে সেটার সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করাই একজন তরুন উদ্যোক্তার কাজ। তবে সব কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অনেক বেশি আত্নপ্রত্যয়ী এবং বিনয়ী হতে হবে। সাহস আছে? দেশসেরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, গ্রামের তরুনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারার?কৃষিকাজ কে আরো সহজ কিভাবে করা যায়, সেটার জন্য কৃষক দের নিয়ে কাজ করতে পারার? পারবে এতোটা Bold হতে? যদি পারো, তাহলে জেনে রেখো আজকের এই পৃথিবী তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, তুমি এসে পরিবর্তন করবে বলে। এসব ভিন্নধর্মী কাজকে স্বাগতম জানানোর জন্য আমাদের আজকের বাংলাদেশ এর অর্থনীতি এবং সরকারী/বেসরকারী দাতারা প্রস্তুত, তুমি প্রস্তুত তো? এজন্য তোমাকে জানতে হবে কোথায় কি হচ্ছে, এবং এর সাথে নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

এবার খুব সংক্ষেপে বলি, কিভাবে দক্ষতা বাড়াতে পারো। পড়াশোনা তো অবশ্যই করবে, কিন্তু এর পাশাপাশি নিজের ভাষাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করো, বাংলা এবং ইংরেজী উভয় ভাষা। সুন্দর করে লিখতে এবং বলতে শিখো, না পারলে প্রচুর প্র্যাক্টিস করো, নিউজপেপার পড়ো।
অনলাইনে প্রচুর শিক্ষামূলক টিউটোরিয়াল আছে, সেগুলো দেখো।
বিভিন্ন Organization এ volunteering করো,
Event arrange করো, বিভিন্ন ছোটখাটো পার্টটাইম জব করো, টিউশনি করো, বিভিন্ন সভা সেমিনারে অংশগ্রহণ করো. নিজের নেটওর্কিং বাড়াও।
Microsoft word, Excell, Power point, এসব ভালো করে শিখো।
চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন শিখো এবং freelancing করো, এসব কাজের ডিমান্ড এতো বেশি, তা তুমি চিন্তাও করতে পারবেনা।
যেখানেই পড়াশোনা করোনা কেনো, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সাথে নিজেকে এসব সহশিক্ষা কার্যক্রম এর সাথে যুক্ত করে ফেলবে। তবে আপাতত পড়াশোনায় মনোযোগী হও। একটানা পড়তে ইচ্ছে না করলে একটু বিরতি নাও, গান শুনো, স্ন্যাকস খাও আবার পড়তে বসো। এই যে আমি আজ সকাল থেকে পড়তে পড়তে tired, তাই এখন একটু বিরতি নিয়েছি, লিখছি,,
আমার ছোটো ভাই বোনরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে, ওদের কল দিবো লিখা শেষ করে, তারপর আবার পড়তে বসবো।?

আর প্রিয় মা বাবা,,
আপনার সন্তানকে অন্য কারো সাথে তুলনা করবেন না। পাশের বাসার ভাবীর ছেলে ডাক্তার, তাই আপনার ছেলে মেয়েকেও এমন হতে হবে এমন চিন্তা ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন, তাকে তার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী পড়তে দিন। সে হয়তো আপনার চাপিয়ে দেয়া সাইন্স এ পড়ে ভালো করবে না, কিন্তু তার হয়তো writing skill and critical thinking অনেক ভালো, সে হয়তো কোনো একসময় দেশসেরা CV writer হয়ে উঠবে, এটাও আমাদের দেশে এখন একটি rising career.

শ্রদ্ধেয় শিক্ষক -শিক্ষিকা,
আপনি আপনার ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বার্তায় সদয় হোন। এই স্কুল পড়ুয়া উঠতী বয়সী শিক্ষার্থীরা এই সময়ে অনেক হরমোনাল পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়, আর এই পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের শারীরিক এবং মানষিক পরিবর্তন আসে। এই সময়ে তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা যাবে না, তারা ভুল করলে বুঝিয়ে বলতে হবে আড়ালে, সবার সামনে অপমান করা যাবে না, আর্টস-সায়েন্স-কমার্স নিয়ে বিভেদ তৈরী করা যাবে না। ওরা ছোট হলেও ওদের কে সম্মান দিয়ে কথ বলতে হবে।
এটা আমি আরো শিখেছি আবার best friend এর কাছ থেকে, ও সম্প্রতি লন্ডন থেকে পড়াশোনা শেষ করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা করছে। ও আমাকে প্রায় ই বলে, এবং ওর অনেক এক্টিভিটিস দেখে আমিও বুঝি যে, যেসব শিক্ষার্থী রা একটু কম পারে তাদের সাথে আরো বিনয়ী হতে হবে, তাদের বেশি কাউন্সিলিং করতে হবে! আর তা না হলে আমাদের এই চলতি সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থায় শ্রীমঙ্গলের স্টেপ সাগর এর মত অনেকেই সৃষ্টি হবে, আমরা এমন টা অবশ্যই চাই না। অন্তরের মত ছেলেরা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করে দেশের জন্য কাজ করুক,বাজে সমাজ এবং রাজনৈতিক ব্যাবস্থার কারনে সৃষ্টি হওয়া “স্টেপ সাগরের ” আর জন্ম না হোক।

সবশেষে বলতে চাই,
তুমি কি অনেক humorous? তোমার কথা দিয়ে মানুষকে অনেক হাসাতে পারো? তাহলে হয়তো তুমি একদিন দেশ সেরা কমিডিয়ান হয়ে উঠবে। আমার এক ব্যারিস্টার ফ্রেন্ড দেশে ফিরে stand up comedy করা শুরু করেছে, মানুষ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে ওর কথা শুনতে যায়, একটু হাসার জন্য, amazing না?ও আমাকে বলেছে স্রোতের বিপরীতে চলতে গিয়ে প্রথমে কেউ সাপোর্ট করেনা, কিন্ত নিজে আত্নবিশ্বাসী হয়ে ভালো কাজ করলে, সব বাধারাও হার মানে।আর তুমি তখন মুক্ত পাখি হয়ে ডানা মেলে আকাশে উড়তে পারবে।

অনেক অনুপ্রেরণা দেয়া হয়েছে,
বাচ্চাকাচ্চারা, যাও এবার পড়তে বসো।??

সবার জন্য শুভকামনা এবং ভালোবাসা ?

আর ভিন্নধর্মী ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানো,সেটাকে স্বাগতম জানাও এবং নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করো!