- বড় হয়ে উঠার এই সময়টাতে ল্যারিংস (Adam’s apple -larynx) বড় হতে থাকে ।আর তখনই কন্ঠস্বর ভাংতে অথবা বদলাএ শুরু করে। এভাবে আস্তে আস্তে একটা ছেলের কন্ঠস্বর ভাংতে ভাংতে পরিনত হতে থাকে ।আর এই পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক।
- আরও একটি গুরুত্ত্বপুর্ন শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । আর সেটা শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম গজাতে থাকে । বিষেশত বগলে ,পিউবিক এড়িয়াতে বেশী লোম গজাতে দেখা আয় ,আর সেই সাথে দাড়ি–গোফ তো তো আছেই ।বয়স বাড়ার সাথে সাথে লোমের ঘনত্ত্ব আরও বাড়তে থাকে। আর একারনে অনেক মনে মনে লজ্জ্বা পেয়ে থাকে অথবা হীনমন্যতায় ভোগে কিন্তু তখন এটা জানা খুবই এই হরমোনাল পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক।
- বয়সন্ধিতে প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছেলের ব্রেস্ট একটু বড় হতে পারে এবং এটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু অনেকেই এটা নিয়ে লজ্জ্বা পায় ,অথচ হরমোন এর পরিবর্তন কতনা স্বাভাবিক।
- জেনিটাল /সেক্স অরগান –ঊদাহরন হিসেবে পেনিসের আকার পরিবর্তনের কথা বলা যায়। এই একটা পরিবর্তনের কারনেই অনেকের মধ্যে অনেক প্রশ্ন আশে,দ্বিধা, কোতুহল জাগে মনে ।
- বয়ঃসন্ধিতে ছেলেদের টেস্টিকলে অনেক পরিবর্তন আসে ।টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন এর সহায়তায় টেস্টিকল স্পার্ম তৈরী করে। আর সেই সাথে পেনিসের ও সাইজের পরিবর্তন আসে যা একজন ছেলে খুব সহজেই অনুভব করতেই পারে।বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন অনেকের মনে অনেক কৈতুহল সৃষ্টি করে । তখন পরিবারের উচিত এসব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, যাতে করে সবাই এই পরিবর্তনকে স্বাভাবিকভাবে নেয় এবং তারা ইন্টারনেট এবং আশেপাশের পরিবেশ থেকে ভুল তথ্য না পায় ।
- মাঝে মাঝে টেস্টিকল এর সাইজ যদি অস্বাভাবিক হয় অথবা কোনো কারনে ফুলে যায় ,তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।তাই নিয়মিত নিজের বিভিন্ন সেক্স অরগান নিজেই পরীক্ষা করার বিশেষ কিছু নিয়ম পরিবারেরও জানা উচিত এবং তাদের সন্তানকে জানানো উচিত কেননা পনেরো থেকে ত্রিশ বছর বয়সী ছেলেদের জেনিটাল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ।
- একটা মানুষের বায়োলজিকাল চাওয়া-পাওয়া থাকবে আর একটা স্বাভাবিক ।আর তাই বয়সন্ধিকালে হরমোন তৈরী হওয়ার সাথে সাথে পেনিস এর আকৃতি বদলাতে থাকে ,কিছু কিছু সময় আকারে বৃদ্ধি পায় ,মাঝেমাঝে শক্ত হয়ে যেতে পারে ,যাকে বিজ্ঞান এর ভাষায় ইরেকশন বলে । এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে স্বাবভাবিক ভাবে জানা এবং জানানোর জন্যই আমাদের বেড়ে উঠার সময় সেক্স এডুকেশন অনেক গুরুত্ত্বপূর্ন একটি বিষয় ।
- বয়ঃসন্ধিতে আরো একটি পরিচিত বিষয় সব ছেলেদের সাথে ঘটে থাকে আর সেটকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘wet dream’’ । এর মানে হলো অনেক সময় ঘুমের মধ্যে Ejaculations হতে পারে ।তার মানে হলো- সাদা কালারের ফ্লুইড তৈরী হয় সেমিলান ভেসিকল এবং প্রসটেট গ্ল্যান্ড এর মাধ্যমে, যা স্পার্মের সাথে মিশে সিমেন তৈরী করে। আর এই মিল্কি ফ্লুইড এর বেরিয়ে আসাকেই ইজাকুলেশন বলে।আর এই পুরো প্রক্রিয়াকে ওয়েট ড্রিম বলে থাকে যা ঘুমের মধ্যে হয়ে থাকে ।তাই ঘুম ভাংগার পর অনেকেই হয়তো খেয়াল করেন থাকেন সাদা রংয়ের মিল্কি ফ্লুইড এবং এটি খুবই স্বাভাবিক এবং বিজ্ঞানসম্মত একটি প্রক্রিয়া যাতে করে সিমেন বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে ,যেহেতু প্রতিনিয়ত টেস্টিকল এর বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি তৈরি হচ্ছে ।
- আর এই সচরাচর পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় ভালো খাদ্যাভাস খুবই জরুরী ।এই যেমন প্রচুর পানি পান করতে হব্বে ,শাক–সবজি–মাছ–ফল–মূল খেতে হবে ।এই সময়টাতে বাইরের খাবার এই যেমন ফাস্ট ফুড, তেলের ভাজা-পুড়া খুব বেশি একটা না খাওয়াই ভালো, কেননা এটা প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য একটু ক্ষতিকর।
- বয়সন্ধিকালে আমাদের শরীরকে হরমোন তৈরীর মেশিন বলা হয়ে থাকে ।আর এই সময়টাতেই নিত্যনতুন হরমোন তৈরীর কারনে sebaceous (oil producing) glands and sweat glands ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে ।আর এর ফলে ব্রন এবং পিম্পলস হতে পারে ।আর বয়ঃসন্ধিতে প্রায় সব তরুন-তরুনীকেএই সমস্যায় পড়তে হয় ।
- আরও একটা সমস্যায় বয়ঃসন্ধিতে অনেকেই পড়ে থাকেন আর সেটা হলো ঘাম । অনেকেই আছে যারা অনেক বেশি ঘামতে থাকে এবং এটি খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া । দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারন হলো ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে থাকে ,আর তাই বেশি ঘাম দুর্গন্ধের কারন হতে পারে।
উপরের প্রত্যেকটা কারন এর সাথে বয়সঃন্ধিকালে প্রত্যেকটা ছেলেকেই পরিচিত হতে হয় । আর একটু একটু করে, একটা ছোট মানুষের একটা ছেলে হয়ে ঊঠার পেছনের গল্পটা হলো হরমোনাল পরিবর্তন ,যার ফলে এসব পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।সর্বোপুরি ,একটা মানুষকে ছেলে অথবা মেয়ে হিসেবে আলাদা করার প্রধান হাতিয়ার হওয়া উচিত তার শারীরিক এবং মানষিক পরিবর্তনের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা । সামাজিক কোনো বাধা অথবা কুসংস্কার যেনো ছেলে অথবা মেয়েকে আলাদা করার হাতিয়ার না হয়,সেজন্য সেক্স এডুকেশন বিস্তারের কার্যক্রম পরিবার থেকেই শুরু হওয়া উচিত ।
Recent Comments