ফার্মাসিতে গ্রেজুয়েশন শেষ করেছি এবং ফার্মাসিস্ট হয়েও কেনো আমি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে ক্যারিয়ার শুরু করলাম না কেনো , এই প্রশ্নের সম্মুখীন আমি প্রায়ই হই ।
যারা আমার জুনিয়র তারা জানার জন্য প্রশ্ন করে ,কারন অনেকেই ফার্মাসিতে পড়ে ,তাই ওদের বোঝাতে কস্ট হয় না ।
কিন্তু কিছু কিছু সিনিয়রদের বোঝাতে একটু কস্ট হয়ে যায়। যাই হোক ,আজকে বলব খুব ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু কথা।
আমি ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন ফার্মেসীতে স্নাতক ডিগ্রী শেষ করলাম , বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে ইন্টার্নশিপ শেষ করলাম এবং থিসিস জমা দেয়ার ঠিক এক মাস পরেই আমাদের কনভোকেশন ছিলো । কিন্তু থিসিস চলাকালীন সময়েই আমি দেশে এবং দেশের বাইরে কিছু রিসার্চ ফার্মে কাজ করার জন্য এপ্লাই করতে থাকলাম ।
এর মধ্যে আমি নিজে থেকে কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যালস এ এপ্লাই করে রেখেছিলাম এবং গ্র্যাজুয়েশন এর আগেই ,ঠিক কনভোকেশন এর আগে একটি মাল্টিন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে মার্কেটিং এ জব পেয়ে গেলাম।
সেদিন ছিলো মঙ্গলবার।আমাকের সেই মাল্টিন্যাশনাল এর এইচ আর থেকে ফোন করে বলা হলো , আগামী রবিবার থেকে আপনার জয়েনিং ,আপনি একটু বৃহস্প্রতিবারে এসে আমাদের সবার সাথে দেখা করে যাবেন এবং দুপুরে এই দিনে একটু ভালো খাবারের আয়োজন করা হবে, আপনি সবার সাথে জয়েন করলে পরিচিতও হবেন এবং আপনার ভালো কিছু সময় কাটবে।
সব জিজ্ঞেস করার পর এবং শোনার পর ,আমি এক বাক্যেই না বলে দিলাম ।আমি তখন ঢাকায়।আব্বু শ্রীমঙ্গলে ।আমি ওদের না বলে ,সাথে সাথে আব্বুকে কল দিলাম ।বললাম যে আমার তো জব কনফার্ম হয়ে গেছে কিন্তু আমি না করে দিয়েছি ।আব্বু জিজ্ঞেস করল “কেনো”.বললাম যে আমার তো কালকেই দেশের বাইরেই একটা কনফারেন্সে যাচ্ছি ,আসতে একটু দেরি হবে ,আর সেখানে আমি একটা রিসার্চ প্রজেক্ট এর এবসট্রাক্ট জমা দিয়েছিলা্ম এবং সেটাও এক্সেপ্টেড, তাই আমি দেশে আসার পরে আমার নিজের প্রজেক্টে কাজ শুরু করবো।আব্বু এক বাক্যে বলে দিলেন “তোমার যেটা ভালো মনে হয় ,সেটা করো”।সেদিনের আমার সে না বলা এবং আব্বুর সে সাপোর্ট ,আমার জীবনকে সম্পূর্ন বদলে দিয়েছে ।তাই সব “না” সবসময় খারাপ না ।
একটু বিস্তারিত বলি।আমি দেশে এসেই একটা রিসার্চ ফার্মের সাথে কাজ করা শুরু করলাম ।অনেকগুলো এপ্লিকেশন রিজেক্ট হওয়ার পর আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর আমার নিজের ডিজাইন করা প্রজেক্টের সুপারভাইসার হলেন ।এটা ছিলো আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ।অলরেডি বলেছি ,সেদিনের “না” আমার সম্পূর্ন জীবনকে বদলে দিয়েছে ।
আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে সব সময়ই একাডেমিক সেক্টরে কাজ করতে চেয়েছি ,একাডেমিশিয়ান হতে চেয়েছি ,কারন আমার পড়াশোনা করতে সবসময়ই ভালো লাগে , শখও বলা যেতে পারে।প্রথমে প্ল্যান ছিলো গ্র্যাজুয়েশন শেষ করবো , এর মধ্যে রিসার্চ পেপার ইন্টারন্যাশলান জার্নালে পাবলিশ করে দেশের বাইরে মাস্টার্স করতে চলে যাবো ,তারপর পিএইচডি করে দেশে এসে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবো ।
এর মধ্যে আমি যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম সেরকম টপিক এবং প্যাটফর্ম পাচ্ছিলাম না ।সেক্স এডুকেশন ,প্রজনন এবং মানষিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করারা ইচ্ছাটা আরো প্রবল হয়ে উঠলো ।তখন নিজে প্রজেক্ট প্রপোজাল রেডি করে দেশের এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন রিসার্চারদের পাঠাতে থাকলাম ।সারাদিন মেইল নিয়ে বসে থাকতাম।
আর আমি প্রচুর ভলান্টিয়ারিং করেছি ,বিভিন্ন অরগানাইজেশন এ কাজ করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ,তাই ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করার ইচ্ছা আরো তীব্র হলো।এভাবেই শুরু আসলে ।
বাংলাদেশে অনেক ভালো ভালো যোগ্যতা সম্পন্ন ফার্মাসিস্ট আছেন ,তারা এই শিল্পকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন ,লাল সবুজের পতাকাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।তাই আমি মনে করি ,আমি একজন ফার্মাসিস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস এ ক্যারিয়ার না গড়লে তেমন ক্ষতি হবে্না ।আগেই বলেছি আমাদের দেশে অনেক ভালো ভালো ফার্মাসিস্ট আছেন । আমার বন্ধুরাও অনেক ভালো করছে এই শিল্পে ,এমনকি আমার জুনিয়রদের দেখেও আমি অনেক অনুপ্রানিত হয়।
তাই মাস্টার্সে বেছে নিলাম বায়োকেমিস্ট্রি ।
সবার প্রশ্ন আরো বেড়ে গেলো।
ফার্মাসি থেকে এই বায়োকেমিস্ট্রি কেনো?
উত্তরটা সহজ ।আমি রিসার্চ করতে চাই এবং এখানেই ক্যারিয়ার গড়তে চাই ।
অনেকে মনে করেন বায়োকেমিস্ট্রি মানে কেমিস্ট্রি, অনেক সংকেত ,সুত্র ,ক্যামিক্যাল রিএকশন পড়ানো হয়।
এটা সম্পূর্ন ভুল ।
এটি এমন একটি সাব্জেক্ট যা পড়লে আপনি মানবদেহের সব জানবেন ,পুষ্টি,হরমোন থেকে শুরু করে কিভাবে জিন সিকুয়েন্স এবং বিভিন্ন পদ্বতির মধ্য দিয়ে আপনার দেহের বিভিন্ন রোগ,তার নিরাময় এবং নির্নয়ের তথ্য । এক কথায়,রোগ প্রতিরোধ করে কিভাবে একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনকে যাপন করবেন ,সেটাই বায়োক্যামিস্ট্রি ।সহজ ভাষায়, এটি একটি লাইফ সাইন্স ।যত পড়বেন ,আগ্রহ বাড়বে ,একটুও কমবেনা।তাই এই সাব্জেক্ট সিলেক্ট করেছি ।আর পিএইচডি করবো প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে ,ইনশাল্লাহ।আর দেশেই কাজ করবো । অনেকে খুব অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন “কেনো দেশে চলে আসবা”?আমিও অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি “কেনো ভিনদেশের জন্য কাজ করবো?
নিজের দেশে নিজেই রাজা ।আমার এতো লাক্সারিয়াস লাইফ লাগবেনা ।বাংলাদেশে আমরা না ফিরে আসলে দেশ পিছিয়ে যাবে ।এখানে কাজের সম্ভাবনা অনেক ।আমি একজন সামনে দাড়ালে একটা লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে যায় ,সবাই সাপোর্ট করে অথবা কাজ করতে এগিয়ে আসে।এমন দেশ কোথায় পাবো?জানি আমাদের অনেক সমস্যা আছে ,কিন্তু দেশ আমার আর দোষ সবার এই ধারনায় আমি বিশ্বাসী নই ।দেশ আমার ,কিছু কিছু ক্ষেত্রে দোষও আমার।তাই দেশেই স্যাটেল হবো ,এখানেই কাজ করবো ।তাই যত প্রজেক্ট এই পর্যন্ত ডিজাইন করেছি ,সব দেশে কাজ করার জন্যই।
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি ।যদি বলো যতটুকু পথ পাড়ি দিয়েছি,কিভাবে?
আমি বলবো “ আমি অনেক মিশুক প্রকৃতির”।আমি অনেক মানুষের সাথে খুব সহজেই মিশে যেতে পারি ,এটা হয়তো পারিবারিক শিক্ষা ।আব্বু আম্মু এমন।এই একটা ভালো অভ্যাস আমি পেয়েছি ,যা আমাকে এখনো সাহায্য করে।
কারন মানুষের সাথে না মিশলে ,কথা না বললে অনেক ভালো আইডিয়া হারিয়ে যায়।যাই হোক ,কাজ করলাম নিজের পাইলট প্রজেক্টে ,প্রেস্ক্রিপশন বাংলাদেশ দিলাম নাম ।অনেকেই প্রশ্ন করেন “নাম কেনো প্রেস্ক্রিপশন” ?উত্তরটা সহজ ।আপনি ডাক্তারের কাছে গেলে সব গাইডলাইন প্রেস্ক্রিপশনে লিখে আপনাকে দেয়া হয়,আপনার ভালোর জন্য ।আমাদের টিমও ঠিক সেই কাজটি ই করছে ।সহজ ভাষায় প্রজনন এবং মানষিক স্বাস্থ্য নিয়ে তথ্য দেয়ার ,যাতে কেউ লজ্জা না পায় এবং সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারে ।
যাই হোক ,এই আর্টিক্যালটি লিখার উদ্যেশ্য দুটি ।
প্রথমত ,সবাইকে বলতে চাই ,তুমি চাইলেই তোমার পছন্দের কাজকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারবে, এজন্য তোমাকে অনেক বেশি পরিশ্রমী ,সৎ এবং ধৈর্য ধরে আত্নপ্রত্যয়ী এবং আত্নবিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে হবে।বাধা আসবে ,মানুষ পেছনে কথা বলবে কিন্তু তোমাকে এমন কিছু মানুষ খুজে নিতে হবে যারা তোমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরনা দিবে।দিনশেষে তুমি শুধু তোমার। তাই সব বাদ দিয়ে শুধু ভালো কাজ করে যেতে হবে ,ভালোর সাথে থাকতে হবে ।
দ্বিতীয়ত,ফার্মেসীতে পড়ে ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়া আর কি কি ক্যারিয়ার গড়ে তোলা যায় –
- যেহেতু আমি ফার্মেসীতে পড়াশোনা করেছি,স্বভাবতই আমি প্রথম থেকে ধরেই নিয়েছিলাম যে নিজের ক্যারিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীতেই গড়ে তুলব।কিন্তু ধীরে ধীরে জানতে পারলাম, চাইলেই আমি একাডেমিক সেক্টরে যেতে পারব অথবা ইন্ডাস্ট্রিতে। আমার কাছে মনে হয়েছে আমি একাডেমিক সেক্টরে কাজ করলে হ্যাপি থাকব, তাই আমি আমার মত করে কাজ করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শেষ দিক থেকে। এজন্য মাস্টার্স এ আমি বায়োকেমিস্ট্রি বেছে নিয়েছি,যাতে করে আমি পরবর্তীতে গবেষনায় আসলে এবং পিএইচডি করতে চাইলে এমন কোনো টপিক বেছে নিতে পারি যেটা আমার পছন্দের। যেমন এখন আমার Aging and mental stress নিয়ে খুব interest কাজ করে, আবার women health নিয়েও, এখনো আমি জানিনা, কোন বিষয়ে পিএইচডি করব, তবে এমন বিষয়েই করবো, যাতে করে আমি বাংলাদেশে কাজ করতে পারি এবং কাজের ক্ষেত্র তৈরী করতে পারি। দেখা গেলো পিএচডি করলাম ক্যান্সার স্টেম সেল নিয়ে, যেখানে আমার দেশে আগামী ৫০ বছরেও এই সেক্টর এর রিসার্চ ল্যাব এবং কাজের ক্ষেত্র তৈরী হবে না, তাহলে এই সাব্জেক্ট পড়ে আমার লাভ হলো টা কি? আমি দেশে এসে অনেক টাকা বেতনে হয়তো কোনো একটা ভার্সিটিতে এসে প্রফেসর হতে পারব।এতে করে আমার নিজের লাভ হলো, কিন্তু এই শিক্ষা তো দেশের মানুষের কাজে লাগলো না। আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে অনেক এমন রিসার্চার আছেন, উনারা দেশে আসলে এবং যা পড়েছেন সেটার কাজের ক্ষেত্র তৈরী করলেই সুদিন আসবে। সবাই আসবেন না,উনাদের মতামতকে সম্মান জানাই কারন আমি আমাদের দেশের কঠিন বাস্তবতা জানি কিন্তু বাইরে থেকেও যদি একটু contribute করেন, বা আমরা যারা দেশে ফিরতে চাই তাদেরকে সাপোর্ট করেন ,তাহলে সুফল আসবে।
- ফার্মেসী পড়ার আরো একটি সুবিধা হলো ,দেশের বাইরে অনেক ভালো সাব্জেক্টে মাস্টারস বা পিএইচডি তে এপ্লাই করা যায় এবং পরবর্তীতে ভালো ভালো গবেষনায় যুক্ত হওয়া যায়।তার মানে হলো ,Health science এবং এর গবেষনায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে চাইলে ,ফার্মেসী একটি উপযোগী সাবজেক্ট ।
- ফার্মেসী হলো একটি হেলথ সায়েন্স বা লাইফ সায়েন্স । এই সাব্জেক্টে পড়ে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থায় স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার সুযোগ আছে ,শুধু নিজেকে সেভাবে একটু তৈরী করে নিতে হবে।
- যাই হোক,এবার আসি ফার্মেসির জব সেক্টর এর কথায়।এতোক্ষন তো বললাম ফার্মেসি পড়ে একাডেমিক সেক্টরে কিভাবে কাজ করা যায়। এবার আসি ইন্ডাস্ট্রিতে।আমার ভার্সিটির জুনিয়র, সিনিয়র এবং friends, সবাই ওষুধ কোম্পানীতে জব করছে এবং অনেক ভালো করছে, ওরা এতো hard work করে যে ওদের দেখে আমি অনেক বেশি অনুপ্রানিত হই।কেউ কেউ মার্কেটিং এ জব করছে, কেউ আবার core pharmaceutical company তে, যেখানে medicine বানানো হয়। আর ওষুধ কোম্পানীতে কাজ করা জেলখানার মত, অনেক নিয়ম মেনে, অনেক সাবধানে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হয়, কারন একটু ভুল হলেই তো এই ওষুধ খেয়ে মানুষ মারা যাবে অথবা অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
- আর আমাদের ওষুধ শিল্প এখন অনেক উন্নত।আমরা FDA approval পেয়েছি,তাই square and Beximco এখন USA তে Medicine export করে। আমি নিশ্চিত কিছুদিনের মধ্যে আরো কয়েকটি কোম্পানী FDA এর মত ভয়ংকর কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে পৌছে দিবে। এর বাইরে, ফার্মেসি পড়ে Clinical Pharmacy এবং hospital pharmacy তে ক্যারিয়ার গড়া যায়, এটাই ফার্মেসির আসল চাকরির ক্ষেত্র, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমাদের দেশে এই চাকরি ক্ষেত্র এখনো গড়ে উঠেনি, নাই বললেই চলে। শুধুমাত্র international Standard maintain করার জন্য আমাদের দেশের কয়েকটা নামিদামি হসপিটাল সেখানে ফার্মাসিস্ট রাখে,কিন্তু সেটাও কতটা লোক দেখানো, বা সেখানেও কত বেশি চাকরির ক্ষেত্র আছে, সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়ম হলো, প্রত্যেকটা ফার্মেসিতে একজন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট থাকবেন, ডাক্তার রোগী দেখে অসুখের sign and symptom লিখে দিবেন, সেটা দেখে একজন pharmacist রোগীর জন্য prescription এ ঔষধ এর নাম এবং খাবার নিয়ম লিখবেন এবং প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া কেউ ঔষধ কিনতেও পারবেনা,বিক্রিও করতে পারবে না, শুধু OTC drugs প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া বিক্রি বা কেনা যাবে, এটাই নিয়ম, দেশের বাইরে মানা হলেও আমাদের দেশে মানা হয়না ।আমাদের দেশে পুরাই উলটা, এন্টিবায়োটিক এর মত এতো সেন্সিটিভ একটা ওষুধ যার যেভাবে ইচ্ছা কিনছেন, যেভবে ইচ্ছা বিক্রি করছেন। এখানে সচেতনতার একটি বড় ঘাটতি আছে ।আমাদের সবাইকে ঠিক হতে হবে ।
যাই হোক ,আমি বলতে চাচ্ছি ,ফার্মেসীতে পড়েও ,ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়া আরো অনেক জব করা যায় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য , যদি কেউ একটু ভিন্নধর্মী এবং নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু করতে চান ,এটা সম্ভব । জব সীমিত না ,মাঝে মধ্যে আমাদের চিন্তা ভাবনায় বা সুযোগ সুবিধায় সীমাবদ্ধ্বতা আসে।
এবার আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ,তুমি কি ?তুমি কি করো? তোমার প্রফেশন কি?
আমি এক কথায় উত্তর দেব “আমি একজন “Health Educator ,Entreprenuer and Activist “.
আমার একটি পাইলট প্রজেক্ট আছে- “প্রেশক্রিপশন বাংলাদেশ” নাম।আর আমি বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ইন্সটিটিঊট ফর পপুলেশন এন্ড রিপ্রডাক্টিভ হেলথ এর একজন ফ্যামিলি প্ল্যানিং লিডার (https://www.120under40.org/nominee/ishrat-naher-erina) । পরিবার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ,আমি কাজ করছি বন্ধ্যাত্ত্ব এবং বন্ধাত্ত্ব ব্যাবস্থাপনা নিয়ে ।আমার এই প্রজেক্টটি , বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ইন্সটিটিঊট এর 120 Under 40 নামক একটি প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয় এবং বাংলাদেশ থেকে উইনার হয়েছিলাম।
আমার কাজ করার বিষয়ঃ
১) সেক্স এডুকেশন এবং মানষিক স্বাস্থ্য
২) স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং রোগ প্রতিরোধ/প্রতিকার
৩)প্রজনন স্বাস্থ্য
আমার প্রজেক্ট সম্পর্কে আরো জানতে এই ওয়েবসাইট দুটি ভিসিট করতে পারো।আর কেউ যদি হেলথ সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড এ পড়াশোনা করে থাকো এবং কোনো টপিকে কাজ করতে আগ্রহী থাকো ,তাহলে তারা এই ওয়েসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারো ।
https://www.prescriptionbd.org/
https://bangla.prescriptionbd.org/
You have brought up a very great points, regards for the post. Eleanor Giraud Bendicta
Hello. This post was extremely fascinating, especially because I was investigating for thoughts on this subject last Sunday. Ramona Bayard Ann-Marie
Thank you so much.
There is definately a lot to find out about this subject. I like all of the points you made. Kasey Louie Anni
Thank you
Thank you so much.
Worth Reading ! your thought is simply amazing.
Thank you so much.
আস্সালামুআালাইকুম কেমন আছেন, আসাকরি ভালো আছেন, আমি একটা blogsite তৈরি করেছি USA এর জন্য আসাকরছি, কোনধরণের blog লিখলে USA এর লোক বেসি পছন্দকরবে , যদি আপনি পরামর্শ দেন কৃতজ্ঞ থাকবো