ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মত স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লে সহবাসে পুরুষের অক্ষমতা দেখা দেয়। এ সময় সহবাসের সময় পিনেসের মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয় না। যার ফলে পিনেসের সাইজ আকারে বড় হয় না এবং পিনেস শক্ত হয় না। এতে করে সহবাস থেকে বিরত থাকতে হয়।

সহবাসে পুরুষের অক্ষমতা

সহবাসে পুরুষের অক্ষমতা মূলত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। যৌন অক্ষমতা শারীরিক এবং মানসিক কারণে হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি সাময়িক। উপযুক্ত চিকিৎসা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেলে, এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

শারীরিক কারণ

১. অতিরিক্ত ওজন।
২. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।
৩. বিভিন্ন রোগ (ডায়েবিটিস, উচ্চ রক্ত চাপ, ব্লাডে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকা, হার্টের অসুখ ইত্যাদি।
৪. হরমোনজনিত কারণ।
৫. সার্জারী বা ইনজুরি।
৬. ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়া।
৭. যে রক্তনালি দিয়ে রক্ত পিনেসে প্রবাহিত হয়, সেই রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়া।

মানসিক কারণ

১. বিষণ্নতা
২. উদ্বিগ্নতা
৩. কাজের চাপ।
৪. পারিবারিক চাপ।
৫. ছোটবেলায় যৌন হয়রানীতে স্বীকার হওয়ার মত ঘটনা বা অন্য যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার স্বীকার হওয়া।
৬. স্ত্রীর সাথে মানসিক দুরত্ব বা বোঝাপড়ায় সমস্যা।

সহবাসে পুরুষের অক্ষমতা, সেক্স এডুকেশনের অভাব? (ভিডিও) 

সেক্স এডুকেশনের অভাব 

সহবাসে পুরুষের অক্ষমতা দেখা দিলে এই অবস্থায় মানসিকভাবে পার্টনারকে সাপোর্ট করতে না পারা এবং সামাজিক কুসংস্কার- এই প্রত্যেকটা কারণে পুরুষের erectile dysfunction দেখা দিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাই দ্রুত ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।্কিন্তু সবার আগে তার মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করা উচিত এবং তাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট করা উচিত।

ভায়াগ্রাসহ যৌন উত্তেজক ওষুধ ব্যবহার

Erectile dysfunction বা পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা- খুব কমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ভায়াগ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধ ব্যবহার করেন।

কিন্তু সমস্যা হলো সহবাসে পুরুষের অক্ষমতা দিলে নিজের খেয়াল খুশিমত ওষুধ ব্যবহার করা। ভায়াগ্রার মতই অন্য নামে আমাদের দেশে আরো ১১০-১১৩ রকমের ওষুধ ফার্মেসীতে পাওয়া যায় যা আপনি প্রেসক্রিপশন ছাড়াই কিনতে পারবেন। তার মানে নিজের ইচ্ছামত ওষুধ কিনতে পারাটা আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতে একটি প্রধান সমস্যা।

যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা

সহবাসে পুরুষের অক্ষমতার সমস্যায় একজন রোগীর একজন যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবাও নিশ্চিত করতে হবে। সাথে সাথে একজন পুরুষের স্ত্রীর দায়িত্ব হবে জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলে জেনে নেয়া, তার জীবনে কোনো ভয় ভীতি আছে কিনা ,অতীতে এমন কোনো ঘটনার শিকার হয়েছেন কিনা যা তার এই অক্ষ্মতার জন্য দায়ী অথবা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনো মানসিক দূরত্ব আছে কিনা,বোঝাপড়ায় সমস্যা আছে কিনা।

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা erectile dysfunction থাকলে তার সবার আগে mental counseling প্রয়োজন। অনেক বিবাহিত দম্পতির সাথে কথা হয়েছে, কারো ডিভোর্স হয়ে গেছে শুধু এই erectile dysfunction-এর জন্য।

বিবাহিত দম্পতিরা যৌন মিলন এর এই সমস্যায় পড়লে সবার আগেই একজন psychiatrist-এর কাছে যাবেন, যিনি আপনাকে মানসিকভাবে সাপোর্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি একজন যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ-এর কাছে যাবেন। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে এরকম স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লে, সে দম্পতির মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হয় এবং দিনদিন সম্পর্ক খারাপ হয়।

কোনো পুরুষের erectile dysfunction যৌন মিলন এ অক্ষম হলে সবার আগে ওজন চেক করবেন। ওজন বেশি হলে সেটা কমাতে হবে। তারপর তার মানসিক দুশ্চিন্তা এবং কাজের অতিরিক্ত প্রেসার কমাতে হবে। স্বামী সহবাসে অক্ষম হলে স্ত্রীর উচিত হবে তার স্বামীর কাছ থেকে সবার প্রথমে জেনে নেয়া, সে ছোটবেলায় বা বড় হওয়ার প্রক্রিয়ায় এমন কোনো পরিস্থিতি বা বাজে ঘটনার স্বীকার হয়েছিলো কিনা, যার কারণে সে পারফর্ম করতে পারছে না। কিন্তু এসব না করে সবাই মেডিসিন খাওয়া শুরু করেন প্রথমেই। আর ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। ব্লাডে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এসব যৌন উত্তেজক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক বেশি। এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে।