Believe in the science of LOVE:

রবী ঠাকুরের “সখী ভালোবাসা কারে কয়” গানের সাথে আমরা হয়তো মনের অজান্তেই ভালোবাসার সঠিক মানে খুজে বেড়াই । মন সঠিক উত্তর না দিতে পারলেও , বিজ্ঞ্বান এবং নিত্যনতুন গবেষনা ঠিকই ভালোবাসাকে সজ্ঞ্বায়িত করেছে যুক্তি ,তর্ক এবং বৈজ্ঞ্বানিক আবিস্কারে ।

ভালোবাসা/প্রেমে পড়া কি শুধু মানবদেহকে সচল & বাচিয়ে রাখার জন্য প্রকৃতির একটা বৈজ্ঞানিক নিয়ম মাত্র। Actually, Love is nothing rather it’s just nature’s way of releasing hormones from the BRAIN to keep our species alive! At least, Science এটাই বলে ।

আমরা ব্রেইন এর হরমোনর নিঃসরনের প্রক্রিয়াকেই ভালোবাসা বলি।কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যিটা হলো মানুষের সব অনুভুতিগুলোই মানবজাতিকে বৃদ্ধি ও বাচিয়ে রাখার জন্য হরমোন নিঃসরনের একটা প্রক্রিয়া।

ব্রেইন এর এই একমুখী ক্যামিক্যাল হরমোন নিঃসরন প্রক্রিয়াই মানুষকে ভালবাসতে বাধ্য করে।আসলে মানুষ না বুঝেই প্রকৃতির অনেক lovely একটা plan এর HAPPY victim হচ্ছে কেননা এই ক্যামিক্যাল হরমোন নিঃসরন না হলে মানবদেহে অনেক  অক্ষমতা দেখা  দিবে।

Panoramic valentine's day banner Free Vector

ভালোবাসার তিনটা বৈজ্ঞানিক ধাপ হলো :

১) Lust: এই প্রথম ধাপটা মানূষ অনুভব করে টেস্টোস্টেরন & এস্ট্রোজেন নামক সেক্স হরমোন নির্গত হওয়ার কারনে। তার মানে হলো, প্রথম ভালোলাগা শুরু হয়।তখন কাউকে ভাললাগা/ভালোবাসার কারনই হলো এই দুইটা হরমোন।

২) Attraction: যদি নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন & সেরোটনিন release হয়,এই ধাপটায় একটা মানুষ আরেকটা মানষের প্রতি আকর্ষন অনুভব করে।এই দুইটা হরমোন আবার শক্তি বৃদ্ধি করে, খাবার/ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেয়, ওই বিশেষ মানুষটার প্রতি মনোযোগ বাড়িয়ে দেয়  এবং সাধারন জিনিসগুলোকে অসাধারন লাগতে বাধ্য করে। কারো প্রতি আকর্ষন অনুভব করছেন? বোকা হওয়ার কোনো কারন নাই। It’s nothing but a power playing game of BRAIN to make balance in human body .

 

৩) Attachment: এই ধাপটায় দুইটা মানূষ তখনই সম্পর্কে জ়ড়িয়ে পরে, যখন অক্সিটোসিন & ভেসোপ্রেসিন নামক দুইটা হরমোন রিলিস হয়। এই অক্সিটোসিন অনুভুতিকে গভীর থেকে গভীরতর করে দুইটা মানুষকে অনেক কাছাকাছি নিয়ে আসে। যদি ভালোলাগা ভালোবাসায় রুপান্তরিত না হয় অথবা ব্রেকাপ হয়ে যায় তাহলে অভিমান না করে বিশ্বাস করুন ” অক্সিটোসিন সম্ভবত ঠিক মতো release হইনি অথবা হচ্ছেনা।অক্সিটোসিন is rather known as both Love and Hate hormone!!!!

কাছে আসার গল্পঃ

আর ভেসোপ্রেসিনই হলো রিলেশন এবং  কাছের মানুষটির প্রতি অনেক দিন ধরে কমিটেড থাকার আসল রহস্য। সো আপনার পার্টনার যদি কমিটমেন্ট না রাখে তাহলে তার উপর রাগ না করে মেনে নিন যে ”তার নিশ্চই ভেসোপ্রেসিন হরমোন রিলিস হতে সমস্যা হচ্ছে,তাই সে কথা দিয়েও কথা রাখতে পারে নি। কিন্তু এই দুইটা হরমোন এর জন্যই সম্পর্ক থেকে বিয়ে,বিয়ে থেকে মানুষ দিনের পর দিন একসাথে থাকতে পারে।

সুতরাং, ভালোবাসা কোনো ভাবেই হৃদয়ঘটিত নয়,সম্পুর্ণটাই মস্তিস্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মানুষ শুধু মাত্র ওই সময়টাতেই ভালোবাসা অনুভব করে অথবা প্রেমে পড়ে, যখন caudate nucleus নামক ব্রেইন এর একটা পার্ট অনেক বেশি একটিভ থাকে।

যারা ভালবাসা/প্রেম নিয়ে হতাশ, বিষন্নতায় ভোগেন,প্রতারননার শিকার হয়েছেন ,কাউকে ভালোবেসে অনেক কস্ট পেয়েছেন, এই লেখাটা আসলে তাদের জন্য। Science যতই ভালোবাসার সংজ্ঞা দিয়ে যাক না কেনো, আমরা ভালোবাসাকে হৃদয় অথবা মন এর অনুভূতি দিয়েই বিচার করি , ব্রেইন এখানে কি ভুমিকা রাখল সেটা আমরা মানি না । কিন্তু কাউকে ভালোবেসে থেমে যাওয়ার নাম জীবন না । ক্ষমা করে এগিয়ে যাওয়া যেমন নিজের মানষিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো,তেমনি নিজের পরবর্তী জীবনের জন্য ও ভালো। ভালোবসার মানুষ সাথে নাই থাকুক ,তবুও সুন্দর সৃতিগুলো বেচে থাকুক।

সবার ভালোবাসা হোক পবিত্রতায় পরিপূর্ন ,

এবং এগিয়ে  যাওয়ার নতুন প্রয়াস।

সবার জন্য ভালোবাসা ……………………………