শুক্রাণু হলো পুরুষ প্রজনতন্ত্র এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ন অংশ। একজন নারী এবং পুরুষের যৌন মিলনের সময় একজন পুরুষের শুক্রানু,নারীর ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে ডিম্বানুর সাথে মিলিত হয়  ।আর এর ফলে জাইগোট সৃষ্ঠি হয় এবং পরবর্তীতে এই জাইগোট থেকে ভ্রুন তৈরী হয়। আর ভ্রূন থেকেটি একটি পরিনত সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পারে।

 

শুক্রাণু শরীরের অন্য সব কোষ এর  চেয়ে সবচেয়ে ছোট হয়। শুক্রাণু উত্পাদন হয় seminiferous টিউব  এর মধ্যে একটি অবিচলিত রক্ত সঞ্চালন   প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে।শুক্রাণু কোষের আয়তন মহিলা জনন কোষ অথবা ডিম্বানু এর  চেয়ে 85,000 গুণ কম।  প্রতিদিন প্রায়  গড়ে ১০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন শুক্রাণু  পরিনত পুরুষদেহে উত্পাদিত হয়, তবে মহিলাদের শরীরের বেশিরভাগ কোষের জন্য  প্রতি মাসে মাত্র একটি  ডিম্বানু পরিনত হয় ,যে ডিম্বানু  জাইগোট তৈরী করতে সক্ষম ।

মানব শুক্রাণু হ্যপ্লয়েড কোষ অর্থাৎ এতে ক্রোমোসোমের সংখ্যা এর উৎপাদক কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক। মানব শুক্রাণুতে ২৩টি ক্রোমোসোম থাকে যা ডিম্বাণুর ২৩টি ক্রোমোসোমের সাথে যুক্ত হয়ে ২x২৩ ক্রোমোসোম বিশিষ্ট ডিপ্লয়েড জাইগোট সৃষ্টি করে। শুক্রাণুর আকার বিভিন্ন জীবে বিভিন্ন হয়ে থাকে এবং এটি শুক্রাণুর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট যার মাধ্যমে একটি জীব থেকে অন্য জীবকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়।

 

সব শুক্রানুই যে সক্রিয় তা কিন্তু নয়। নিষ্ক্রিয় শুক্রানুর মত নিষ্ক্রিয় ডিম্বানুও আছে ।তাই যৌন মিলনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার শুধুমাত্র  শুক্রানু এবং ডিম্বানুর মিলিত হলেই জাইগোট গঠন করবে না । শুধুমাত্র সক্রিয় শুক্রানু এর সাথে সক্রিয় ডিম্বানু মিলিত হলেই জাইগোট থেকে ভ্রুন এবং ভ্রুন থেকে সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব।

শুক্রাণুতে বিদ্যমান ক্রোমোসোমগুলো জীবের বৈশিষ্ট্যের বাহক জিন বহন করে যা জীব থেকে তার বংশধরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। আর এ কারনেই শুক্রানু প্রজননতন্ত্র এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ।বয়সন্ধিকাল থেকেই শুক্রানু উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, এ সময় থেকেই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিপূর্ন খাদ্য তালিকা তৈরী করে সে অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। খাদ্য তালিকার সাথে প্রজনন স্বাস্থ্যের উর্বরতাও (fertility) অনেকটা নির্ভর করে।