বন্ধাত্ত্ব হচ্ছে এমনই একটি বিষয় ,যা ইচ্ছাকৃতভাবে হয় না ।বন্ধাত্ত্ব কোনো দূর্বলতা নয়,বরং এটি একটি মেডিকেল কনডিশন ।কখনো নারী অথবা কখনো পুরুষের কিছু মেডিকেল কন্ডিশনের কারনে অথবা কখনো কোনো কারন ছাড়াই একজন মানুষ বন্ধা হতে পারেন। বন্ধ্যাত্বের পেছনে যেরকম অসাস্থকর জীবনযাত্রা দায়ী ,ঠিক তেমনি অনেক শারিরীক/মানষিক অবস্থা অথবা অনেক অজানা কারনও দায়ী।দুর্বলতার অনেক বিচার বিশ্লেষন আছে আমাদের সমাজে । অনেক মেডিকেল কনডিশনকেও আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় দূর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় .আর এর ধারাবাহিকতায় অনেক মানুষকে অনেক শারীরিক এবং মানষিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়।
বন্ধাত্ত্ব হচ্ছে এমনই একটি বিষয় ,যা ইচ্ছাকৃতভাবে হয় না । কখনো নারী অথবা কখনো পুরুষের কিছু মেডিকেল কন্ডিশনের কারনে অথবা কখনো কোনো কারন ছাড়াই একজন মানুষ বন্ধা হতে পারেন। বন্ধ্যাত্বের পেছনে যেরকম অসাস্থকর জীবনযাত্রা দায়ী ,ঠিক তেমনি অনেক শারিরীক/মানষিক অবস্থা অথবা অনেক অজানা কারনও দায়ী।
বন্ধাত্ত্ব আসলে কি?
সহজ ভাষায় “প্রজননতন্ত্র এবং স্বাস্থ্যের অনুর্বরতা” ।তার মানে হলো , বিবাহিত দম্পতি যখন সন্তান জন্ম দিতে পারেন না বা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী সন্তান গর্ভধারন করতে পারেন না ।
বন্ধাত্ত্ব শুধুমাত্র বিবাহিত দম্পত্তিদের হয় ,ব্যাপারটা এরকম না । একটা মানুষ তার বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই অনুর্বর হতে পারে ,কিন্তু এই সময়ে সন্তান জন্ম দেয়ার ব্যাপারটা থাকে না ,তাই অনেকেই বুঝতে পারেন না । তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোঝা যায় কারন মাসিক অনিয়মিত হতে থাকে ।এটাই একমাত্র উপসর্গ না ।মাসিক অনিয়মিত হলেই যে কেউ বন্ধ্যা ,এটিও সত্য না । ব্যাক্তি বিশেষে একেক মানুষের ক্ষেত্রে বন্ধাত্ত্বের কারন এবং উপসর্গ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে ।নারীদের ক্ষেত্রে একরমক ,পুরুষের ক্ষেত্রে একরকম ।রিসার্চ বলে ,অনেক সময় কোনো কারন ছাড়াই একটি মানুষ বন্ধা হতে পারে।
একটি ঘটনা শেয়ার করি ।
সময়টা ২০১৭ এর শেষের দিক ।আমি মাত্র গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে কাজ করা শুরু করেছি ।আমার প্রজেক্টে আমি সেই শুরু থেকেই সেক্স এডুকেশন ,প্রজনন এবং মানষিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছি ।পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে যখন আমার সুপারভাইজার কাজ করতে বললেন ,আমি চিন্তা করলাম একটূ ভিন্নভাবে ।কারন পরিবার পরিকল্পনা মানেই জনসংখ্যার ভয়াবহতা না । তাই আমি বন্ধাত্ত্ব এবং বন্ধাত্ত্ব ব্যাবস্থাপনা নিয়ে কাজ শুরু করলাম । দুটি গ্রামে সাত মাস কাজ করেছি ।সেখানে একটি সমবায় আছে। সেখানে অনেক মেয়ে এবং মহিলারা সংযুক্ত ছিলেন ।তাদেরকে সচেতন করতাম বিভিন্ন তথ্য দিয়ে।তাদের অনুরোধ করতাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসতে কিন্তু তারা অনেক দ্বিধা এবং লজ্জ্বায় পড়ে যেতেন। একদিন এক আন্টিকে সেখানে পেয়ে গেলাম যার ডিভোর্স হয়ে গেছে ,কারন উনার সন্তান ছিলোনা।
আমি প্রশ্ন করলাম ,”আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড টেস্ট করিয়েছিলেন”?
উনি বললেন ,”এতো সাহস নাই আমার ।বিয়ের পর তিন বছর চেস্টা করেছি অনেক বাচ্চা নিতে ,পারিনি ।আমার স্বামী মেডিসিন এনে দিতো ,অনেক দিন খেয়েছি ,আশেপাশের সবাই আমাকে দোষারোপ করত ,স্বামী মারধর করত ,তারপর সে আরেকটি বিয়ে করে ,আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে,আমি সেই গ্রাম ছেড়ে এই গ্রামে আমার ভাইয়ের কাছে চলে আসি “।
এসব কথা শুনে আমি হতবাক ।কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না ।
নিজেকে একটু গুছিয়ে নিয়ে আবার প্রশ্ন করলাম “তার মানে আপনারা কেউই ডাক্তারের কাছে যাননি ।আপনি অথবা আপনার স্বামী ,কার বন্ধাত্ত্ব আছে ,আপনি জানেনই না”।
উনার সাথে কথা বলে আমি বুজতে পেরেছিলাম যে আমাদের সমাজে একটি দম্পত্ত্বি সন্তান জন্ম দিতে না পারলে সব দায়ভার একটি মেয়ের উপর এসে পড়ে। অথচ স্বামী-স্ত্রী দুজন যদি একসাথে ডাক্তারের কাছে যেতেন ,পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিতেন ,তাহলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো ।
সারা বাংলাদেশের চিত্র হয়তো এমন না তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদেরকেই শারীরিক এবং মানষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় ।
সেই দুটি গ্রামে কাজের অভিজ্ঞতা অনেক ভিন্ন ছিলো। অনেক কিছু শিখেছি এবং শুনেছি তাদের কাছ থেকেই ।তখনই মনে মনে ঠিক করে ফেলেছি ,এই বন্ধাত্ত্ব নিয়ে আরো কাজ করবো অদূর ভবিষ্যতে , এডভোকেসি করব, মানুষকে জানাবো ,সচেতন করে তুলবো েবং রিসার্চে মনোনিবেষ করবো ।
আপনিও আপনার জায়গা থেকে আপনার পাশের মানুষটিকে সচেতন করে তুলুন ।
আসুন সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করি “বন্ধাত্ত্ব কোনো দূর্বলতা নয় ,বরং এটি একটি মেডিকেল কনডিশন”।যারা সন্তার জন্মদানে সক্ষম না ,আমরা যেনো তাদের সাথে ভালো ব্যাবহার করি এবং কথাবার্থায় তাদের প্রতি সংযত এবং সদয় হই ।
Just wanna state that this is very beneficial , Thanks for taking your time to write this. Alta Leroi Carlina
Thank you so much
Your blog has the same post as another author yet i like yours much better. Clementia Elwood Alaric
Thank you so much.
There is certainly a lot to know about this topic. I like all of the points you made. Melodie Niki Ezekiel
Thank you so much.
Fabulous, what a weblog it is! This website provides helpful data to us, keep it up. Blithe Shannon Floria
Thank you so much.
If you are going for best contents like I do, only go to see this web page all the time because it presents feature contents, thanks
Thank you so very much
Excellent write-up. I definitely appreciate this site. Stick with it! Blisse Zeb Brunn
Thank you so much