পিনেস (Penis ) পুরুষ প্রজনর তন্ত্রের একটি গুরুত্ত্বপুর্ন অংশ। মানবদেহ তৈরীর স্বাভাবিক যৌন মিলনের প্রক্রিয়ায় যখন একজন পুরুষের পিনেস ,একজন নারীর যোনিপথে (vagina) প্রবেশ করে , তখন পুরুষের শুক্রানু ,নারীর ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে ,এর ফলে জাইগোট সৃষ্ঠি হয় এবং পরবর্তীতে এই জাইগোট থেকে ভ্রুন তৈরী হয়। আর ভ্রূন থেকেটি একটি পরিনত সন্তান পৃথিবীর আলো দেখতে পারে।
শুধুমাত্র যৌন সম্পর্ক স্থাপন অথবা বংশবিস্তারের জন্যই পিনেস (penis) গুরুত্ত্বপূর্ন নয়,বরং প্রজনন তন্ত্রের অন্যান্য অনেক ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে। পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থার অন্যতম কাঠামো হলো পিনেস, যা পুরুষপ্রজনন তন্ত্রের কিছু নির্দিষ্ট গ্রন্থি এর সাহায্যে বীর্য (semen) উৎপন্ন এবং বহন করে। আর নির্দিষ্ট কিছু গ্রন্থি বীর্য তৈরি করার জন্য শুক্রাণুতে তরল পদার্থ যোগ করে। প্রজনন তন্ত্রের রক্তপ্রবাহ যখন পিনেসে প্রবেশ করে ,তখনই পিনেসের ইরেকশন(Erection) হয়, পিনেস তখন আকারে বড় হয়।
সামগ্রিকভাবে যদি পিনেসের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করা হয় ,তাহলে বয়সন্ধিকাল থেকেই শুক্রানুর সুস্বাস্থ্য রক্ষায় পরিমিত পরিমানে ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস খুবই জরুরী। কেননা শুক্রাণুতে বিদ্যমান ক্রোমোসোমগুলো জীবের বৈশিষ্ট্যের বাহক জিন বহন করে যা জীব থেকে তার বংশধরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। আর এ কারনেই পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে শুক্রানু উৎপাদন কালীন সময় ( বয়ঃসন্ধিকাল) এবং এর পরবর্তী সময়ে সচেতন থাকা আবশ্যক । আর যেহেতু বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই শুক্রানু উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়, এ সময় থেকেই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিপূর্ন খাদ্য তালিকা তৈরী করে সে অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। কারন খাদ্য তালিকার সাথে প্রজনন স্বাস্থ্যের উর্বরতাও (fertility) অনেকটা নির্ভর করে।
Recent Comments