পরিবার নামক শব্দের সাথে আমাদের অনেক আবেগ –অনুভূতি জড়িয়ে আছে । আর তাই পরিবার কল্পনাও আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ । বৈজ্ঞানসম্মত উপায়ে পরিবার কল্পনা এবং এর পদ্ধতিসমূহ সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করে তোলাই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধ্বতির  লক্ষ্যমাত্রা । পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানার আগে গর্ভধারনের উপযুক্ত সময় নিয়ে সচেতন হতে হবে। মা এবং শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য যাতে ঠিক থাকে ,তাই একটি মেয়ের গর্ভধারনের উপযুক্ত সময় বিশ বছর থেকে ত্রিশ বছর। বিশ এর আগে গর্ভধারন মা এবং সন্তান উভয়ের জন্য ঝুকিপূর্ন  । তাছাড়া বিয়ের পর স্বামী –স্ত্রী একে অপরের সাথে বোঝাপড়া,উভয়ের শারীরিক ও মানষিক অবস্থা এবং একে অন্যের সীদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে পরিবার পরিকল্পনা এবং পদ্ধতি গ্রহন করা  পরিবার পরিকল্পনার অনস্বীকার্য অংশ । প্রচলিত পরিবার পরিকল্পনা  পদ্ধতি সম্মুহ : ১) নবদম্পতিদের জন্য উপযুক্ত পদ্ধ্বতিসমূহ –

  • পুরুষদের জন্য কনডম (স্বল্পমেয়াদী)
  • মহিলাদের জন্য খাবার বড়ি (স্বল্পমেয়াদী)
  • মহিলাদের জন্য ইমপ্ল্যান্ট (৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদী)

২) প্রথম সন্তান গ্রহনের পর অর্থাৎ প্রসব পরবর্তী উপযুক্ত পদ্ধতিসমূহ –

  • আইইউডি (১০ বছর মেয়াদী)
  • খাবার বড়ি “আপন” (ছয় মাস মেয়াদী)
  • প্রসবের ছয় সপ্তাহ পর “ গর্ভ নিরোধক ইনজেকশন ” ( ৩ মাস মেয়াদী)
  • ইমপ্ল্যান্ট (৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদী)
  • কনডম (স্বল্পমেয়াদী)

৩) পরিকল্পিত পরিবার পূর্ন হবার পর সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি –

  • আই ইউ ডি (১০ বছর মেয়াদী)
  • লাইগেশন ( মহিলাদের স্থায়ী পদ্ধতি)
  • এনএসভি ( পুরুষদের স্থায়ী পদ্ধতি)

তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে একমাত্র কনডম ব্যাবহারের মাধ্যমেই বিভিন্ন রকম সেক্সুয়ালী ট্রান্সমিটেড রোগ (যেমন- এইচাআইভি/এইডস) থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব । আর যে প্রকার গর্ভনিরোধক পদ্ধতিই ব্যাবহার করা হোক না কেনো ,অবশ্যই তা স্বাস্থ্য কর্মী ,ডাক্তার এবং যথাযথ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরামর্শ অনুযায়ি গ্রহন করতে হবে । এছাড়াও অনিরাপদ যৌন মিলনের পরে  ইসিপি ( ইমার্জেন্সী কন্ট্রাছেপটিভ পিল) ব্যাবহার করা যেতে পারে , তবে ইসিপি নিয়মিত ব্যাবহারের জন্য সম্পূর্ন অনুপোযোগী ,পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও অনেক বেশী ।