খুব বেশী নেতিবাচক মনোভাব পোষন করা ,কথা বলার সময় অন্য মানুষকে খোচা দিয়ে বা ছোট করে কথা বলা ,সবসময় অন্যের সমালোচনা করা, জীবনের সুন্দর দিকগুলোতে দৃস্টি না দিয়ে শুধু “কি নাই” সেটাতে মনযোগী হওয়া ,সারাদিন নিজের দেশ নিয়ে বাজে মন্তব্য করা বা সেটাকে ছড়িয়ে দেয়া,অন্যের ভালো সহ্য করতে না পারা ,কেউ ভালো কোনো কাজ করলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিরুৎসাহিত করা, নিজের চেয়ে ভিন্নধর্মী কাউকে দেখলে বাজে মন্তব্য করা, নিজে কাজ না করা বা কম কাজ করা এবং যারা ভালো কাজ করে, তাদেরকে বিভিন্নভাবে ডিস্টার্ব করা– এসব আনপ্রডাক্টিভ কাজ করে আমরা নিজের ক্ষতি তো করিই ,বরং সাথে সাথে ফার্মেসীরর মালিককেও অনেকটা লাভবান হতে সাহায্য করি। আমরা কি সেটা জানি? কারন “নেতিবাচকতা”-স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । মানসিক স্বাস্থ্য
তাই নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কার ক্ষতি করছেন ,নিজের , নাকি অন্যের? এই বিষয়েও আমাদের একটু ভেবে দেখা উচিত। কারন এইসব নেতিবাচকতা আমাদের ব্রেইনের কোষকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ না করলেও ,কিছু স্টেম সেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।এতে করে আমাদের বডিতে stress Hormone রিলিস হয় (cortisol)।আর এই কর্টিসল আমাদের শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে থাকে, কারন এই স্ট্রেস হরমোন পরিপাকতন্ত্র ( ডাইজেস্টিভ সিস্টেম) কে বাধাগ্রস্থ করে(Example :ulcer হতে পারে)।তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় (Immune System) বা দুর্বল হয়ে পড়ে।আর এজন্যই “নেতিবাচকতা”-স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
তার মানে দাড়ালো,আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন কমতে থাকে ,তখন জ্বর কাশি, মাথা ব্যাথার মত সাধারন ব্যাপারেও মেডিসিন নিতে হয় ,কারন অনেক সময় immune system কাজ করেনা তখন ঠিকমত,আর এজন্য অনেক রোগ হতে পারে,অথচ immune system ঠিকঠাক থাকলে হয়তো,অনেক রোগ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা যেতো।
তাই আসুন নিজের কাজে বেশী মনোযোগী হই ,
যতটুকু সম্ভব নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকি,ইতিবাচক চিন্তা করি,
নিজে ভালো থাকি ,অন্যকে ভালো থাকতে দেই ,
অন্যকে ভালো কাজে অনুপ্রানিত করি এবং যতটুকু সম্ভব মেডিসিন থেকে দূরে থাকি।
কেননা সব সাধারন ব্যাপারে যদি আমরা মেডিসিন নিতে থাকি ,তাহলে আমাদের শরীর মেডিসিন এর উপর এর নির্ভর হয়ে পড়ে ,এবং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের স্বাভাবিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
#No_medicine_is_the best_medicine
Recent Comments