দিন বদলের হাওয়ায় আমাদের দেশে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে ।আর এই এগিয়ে যাওয়ার গল্পে প্রতিনিয়ত সাক্ষর রেখে যাচ্ছে আমাদের আজকের উদ্যোমী এবং সাহসী তরুন প্রজন্ম। কিন্তু দিন দিন যখন অনিয়ম নিয়মে পরিনত হচ্ছে , এই তরুন প্রজন্ম হতাশ হয়ে সমাজ তথা দেশকে বাদ দিয়ে  শুধু নিজের এবং নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে শুরু করে । দেশ তখনই এগিয়ে যায় , যখন আমরা সবাই নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন ভাবে সমাজের জন্য কাজ করে যাই,হোক সেটা ছোট অথবা বড় পরিসরে।

আমাদের ছোটো এই দেশে অনেক সমস্যা ,তারপরেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ।  কিন্তু যতটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো, ঠিক ততটা এগিয়ে যাচ্ছি না শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক দায়িত্ত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্ত্বে অবহেলা এবং সময়ের উপযোগী না হওয়ার কারনে।

দায়িত্ত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্ত্বে অবহেলাঃ

খুব বেশি ঘুরিয়ে কথা বলতে চাই না ,কারন আমাদের সমাজে এখন সত্যি কথা বলার মত সাহসী মানুষ কমে যাচ্ছে । দেশ যতটা না পিছিয়ে যাচ্ছে দায়িত্ত্বপ্রাপ্তদের দায়িত্ত্বে অবহেলা করার জন্য ,তারচেয়ে বেশি পিছিয়ে যাচ্ছে আমাদের নীরব থাকার কারনে ,আমাদের সচেতন না হওয়ার কারনে। একটি এলাকায় যখন কোনো সমস্যা দেখা দেয় ,সেটার সম্পূর্ন দায়িত্ত্ব হলো জনপ্রতিনিধিদের, যারা জনগনের ভোটে নিবার্চিত হন ,যারা নিজেদের ভোটের সময় জনগনের সেবক হিসেবে দাবি করেন। যদি জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা কোনো সমস্যা সৃস্টি নাও হয়ে থাকে , কিন্তু দায়িত্ত্বে থাকা অবস্থায় সব সমস্যা সমাধানের উপায় উনাদেরকেই বের করতে হবে। সম্প্রতি শ্রীমংগলের ময়লার ভাগার নিয়ে এতো কথা হচ্ছে ,আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু কিছু মানুষের সৎ ইচ্ছার অভাব থাকার কারনে এটা সম্ভব হচ্ছে না । সিনিয়রদের কেউ কেউ বলেছেন আইনি জটিলতার কারনে নাকি ময়লা সরানো সম্ভব হচ্ছে না ।  আমি উনাদের এবং উনাদের সহযোগীদের উদ্দেশ্যে একটি কথায় বলতে চাই , “সবার প্রথমে মনের জটিলতা ঝেড়ে ফেলুন ,আইনি জটিলতা শেষ হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র”। আমরা তরুন প্রজন্ম যখন এ ধরনের অনিয়ম দেখি ,আমরা রাজনীতিকে ঘৃনা করি ,রাজনীতি এবং সমাজ থেকে দূরে সরে গিয়ে শুধু নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করি । কেউ যদি অনিয়ম করে ,তবে সেটা তার নৈতিকতার অবক্ষয় ,কিন্তু আমরা সে যে সেক্টরে থেকে কাজ করে ,সেটাকেই ঘৃনা করা শুরু করি । আমাদেরকেও আরেকটু ভাবা দরকার ,নিজেদের অধিকাত্র সম্পর্কে আরেকটু বেশি সচেতন হওয়া দরকার , নিজেদের মতামত সবার সামনে তুলে ধরা দরকার , “আমরা কেমন নেতৃত্ত্ব দেখতে চাই ,কেমন জনপ্রতিনিধি চাই ”। খুব সম্ভবত আমরা সবাই আলাদা আলাদা কাজ করি বলেই হয়তো এই পার্থক্য এবং ক্ষোভের সৃস্টি হয়। আমরা তরুন প্রজন্ম একটা প্ল্যাটফরম চাই ,যেখানে আমাদের কথা শোনা হবে ,যেখানে আমরা একসাথে সবার সাথে বসে নিজেদের এলাকাকে সুন্দর করে গোছানোর জন্য পরিকল্পনা করতে পারবো ।যেহেতু দায়িত্ত্বপ্রাপ্তরা  সবাই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ত্ব করেন , তাই আমাদের প্রজন্মের সবার ক্ষোভ প্রকাশ হয় রাজনীতির উপরে। যার ফলে আমরা রাজনীতিতে আসার কথা দুঃস্বপ্নেও চিন্তা করিনা , বরং আরো বেশী রাজনীতি বিমুখ হয়ে রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হই না । সবাইকে রাজনীতি করতে হবে এমন কোনো কথা নেই ,সবাই করবেও না ।আমাকে বললেও আমি আসবো না ,কিন্তু আমরা যদি একটা কমন প্ল্যাটফরম পাই ,যেখানে আমরা রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের সব স্তরের মানুষের সাথে একসাথে বসে পরিকল্পনা করতে পারবো ,নিজেদের কাজ তুলে ধরতে পারি এবং সেটাকে আরো বেশি  এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবার সহযোগীতা পাই ,সেটা আমাদেরকে আরো ভালো কাজ করার অনুপ্রানিত করবে। তাই আমন্ত্রন দুই দিক থেকে আসতে হবে ,আমাদেরকেও যেতে হবে এবং দায়ীত্ত্বপ্রাপ্তদের সময়োপোযোগী হতে হবে ,গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাতে হবে। ঐক্যমত মানে ভিন্নমতকে সম্মান জানিয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করা । আর তরুন প্রজন্মকে বাদ দিয়ে কোনো পরিকল্পনা হতে পারে না ,কারন আমরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশ ।আমরা যখন এসব অনিয়ম দেখি ,আমরা শুধু  নিজেদের নিয়ে স্বার্থপরের মত ভাবি। আমি জানি ,এভাবে দায়িত্ত্বে না থেকে আমাদের পক্ষে বড় বড় কথা বলা সহজ , যারা কাজ করেন তাদের অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ,তাই হয়তো কোনো পরিকল্পনা জনগনের প্রানের  দাবি হওয়া সত্ত্বে উনারা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারেন না । কিন্তু জনগন এতটাও  বোকা না যে বোঝবেনা কোন কাজটা শুধু মাত্র একটু সৎ  ইচ্ছার অভাবে হচ্ছেনা ,আর কোন কাজটা করতে আসলেই জটিলতা আছে ,তাই সময়ের প্রয়োজন। দায়িত্ত্ব নিলে সমালোচনা সহ্য করতে হবে ,মানুষের সমস্যার সমাধান করতে হবে ,এই মানষিকতা যখন অনেকের মধ্যেই থাকেনা ,আমরা তরুন প্রজন্ম হতাশ হই ।

 

দায়িত্ত্বপ্রাপ্তদের  সময়োপোযোগী না হওয়াঃ

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারে, কিন্তু আজকের তরুন প্রজন্ম বাংলাদেশে থেকেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তরুনদের সাথে প্রতিযোগিতায় জিতে যাচ্ছে । তরুন উদ্যোক্তাদের নিত্য নতুন আবিস্কার সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে যাচ্ছে। অর্থনীতির ভাষায় যদি বলি ,তাহলে বলবো “একটি দেশে যতবেশি তরুন উদ্যোক্তা তৈরী হবে ,সে দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ্ব”। আমাদের দেশে কি তাহলে তরুন উদ্যোক্তা তৈরী হচ্ছেনা? অবশ্যই হচ্ছে ,তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং স্থানীয়ভাবে কম। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কারনে সবার পক্ষে  হয়তো বড় বড় শহরে গিয়ে অনেক ভালো ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা সবসময় সম্ভবপর হয়ে উঠেনা কিন্তু আমরা চাইলেই অনেক সুযোগ-সুবিধা নিজেদের এলাকায় নিয়ে আসতে পারি। বীকেন্দ্রীকরন এখন সময়ের দাবি।  আর এই কাজটা আমাদের জনপ্রতিনিধিরা খুব সহজভাবেই করতে পারবেন ,আর এজন্যই উনাদের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে । আমাদের সরকার তরুনদের জন্য কি কি প্রজেক্ট চালু করেছে সেসব জানতে হবে এবং নিজের এলাকায় সেসব সুযোগ সুবিধা তরুনদের সৃস্টি করে দিতে হবে। এই সুযোগ এবং দক্ষতা তৈরী হচ্ছেনা বলেই ,আমাদের দেশে  এতো এতো বেকার সৃস্টি হচ্ছে এবং স্থানীয়ভাবে কিছু তরুন অসৎ উপায় অবলম্বন করে টাকা উপার্জনের চেস্টা করছে ,যার ফলে পারিবারিক,সামাজিক এবং  রাজনৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে । তরুন প্রজন্ম হতাশার আলোয় আলোকিত হচ্ছে। ভোটের আগে যেসব রাজনৈতিক প্রচারনা এবং প্রতিশ্রুতী আমি শ্রীমংগলে  এতদিন দেখে এসেছি ,সেখানে আমি তরুন প্রজন্মকে নিয়ে সেই অর্থে কোনো সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা দেখিনি। আমার মতই আমার প্রজন্মের অনেকেই এই ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পছন্দ করেনা।  গত নির্বাচনে ,সারা বাংলাদেশের ক্ষমতাশীন দলের অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনা আমি দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে দেখেছি ,দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশে পদ্মা সেতু ছাড়া আর কোনো ভালো কাজ হচ্ছেনা ।আমি একজন তরুন উদ্যোক্তা হিসেবে এতটুকু বলতে পারি , “বর্তমান সরকার তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা সৃস্টি করে দিয়েছে ”,কিন্তু শুধুমাত্র না জানার কারনে এবং বড় শহরে না থাকার কারনে অনেকেই এসব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । সুদিন সেদিন ফিরে আসবে ,যেদিন তরুন প্রজন্ম “চাকরি করব” না বলে “চাকরি দিবো” বলবে।আর এজন্যই আমাদের দেশে আরো বেশি তরুন উদ্যোক্তা তৈরী হওয়ার দরকার আছে ।আমার কাছে মনে হয় ,অনেকেই চান না ,স্থানীয় নেতৃত্বে থাকা তরুনরা দক্ষ হোক ,কারন দক্ষ তরুন নেতৃত্ত্ব বেশি তৈরী হলে উনাদের অনিয়ম করতে একটু বেশি সমস্যা হবে। সারা দেশে  তরুনদের জন্য এতো এতো ট্রেনিং ,এতো এতো ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল  প্রজেক্ট ,ক্যারিয়ার এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে ,আমাদের শ্রীমংগলে এসব নাই কেনো? কারন দুটি , এক –আমাদের দায়িত্ত্বপ্রাপ্তরা সময় উপোযোগী না এবং ইচ্ছার অভাব এবং দুই –আমারা যারা শ্রীমংগলে বড় হয়েছি এবং একটু ভালোভাবে পড়াশোনো করার সুযোগ পেয়ে  বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছি ,আমরা আমাদের এলাকায় এসে কাজ করিনা,যার কারনে স্থানীয় তরুনরা অনেক সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেনা ,কাজ করতে পারেনা।

 

আমাদের শ্রীমংগল সিলেটের অন্যান্য এলাকার তুলনায় শিক্ষার হার বেশি থাকা সত্ত্বেও , এতো সংস্কৃতিবান্ধব এবং অসম্প্রদায়িক হওয়া সত্ত্বে আমাদের এলাকায় এখনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি , মেডিকেল কলেজ হয়নি ।আমাদের দেশে এখন সব আছে ,শুধু ভালো ইচ্ছার অভাব। কিছুদিন আগেই আমাদের পাশের এলাকা হবিগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি শ্রীমংগল এবং মৌলভীবাজারের অনেক  মানুষকে , প্রধানত তরুন প্রজন্মকে অনেক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে দেখেছি । দায়িত্ত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার কথা বাদ ই দিলাম , আমি আপনি কতটা সচেতন ? আপনি আপনার এলাকার এমপির সাথে কথা বলার মত সৎ সাহস এবং যোগ্যতা রাখেন? নাকি দেখা হলে তোষামোদ করতেই ব্যাস্ত থাকেন? নাকি নীরব থাকেন কোনো ঝামেলায় পড়তে চান না দেখে?আমি আমার খুব স্বল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতায় বলতে পারি , নিজের এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য রকেট সাইন্সের দরকার হয় না । প্রথমত সৎ ইচ্ছার দরকার আর দ্বিতীয়ত,একটি ভালো প্রজেক্ট ডিজাইন করা । আমাদের দেশে অনেক একাডেমিশিয়ান এবং রিসার্চার আছে ,যাদের কাছে গেলেই একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে স্থাপন করা যায় ,সেটা সম্পর্কে ধারন পাওয়া যাবে । আর এরপর অনুমোদন পাওয়াটা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার কিন্তু  এটি অসম্ভব কিছুনা । শুন্য থেকেই শুরু করতে হয়। আমাদের শ্রীমংলে অনেক খালি জায়গা আছে ,চা-বাগান সহ অন্যান্য বাগান আছে , পর্যোটনের এক অপূর্ব সমারোহ । এখন আমি যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য প্রজেক্ট ডিজাইন করি তাহলে ,শ্রীমংলের সাথে মিল রেখে সাব্জেক্ট সেখানে নিয়ে আসতে পারি ,যেমন ফরেস্ট্রি, সয়েল সাইন্স , টুরিজম এন্ড বিজনেস মেনেজমেন্ট ইত্যাদি । আমি যখন এসব সাবজেক্ট নিয়ে আসব ,এর সাথে কিছু গবেষনা ইন্সটিটিঊটও করে দিতে পারি, আমাদের ইতিমধ্যেই বি.টি.আর.আই আছে ,সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা ইন্টার্নশীপ করতে পারবে। এভাবে কাজ করলে স্থানীয়রা যারা বাইরে পড়াশোনা করার সুযোগ পায় না ,তারা দক্ষ হবে এবং স্থানীয় চাকরির বাজার সৃস্টি করা সম্ভব হবে ।এভাবেই বিকেন্দ্রীকরন করা সম্ভব ।এটি শুধুমাত্র একটি উদাহরন দিলাম আমি ,আমি বিশ্বাস করি ,যারা জনগনকে পবিত্র সংসদে প্রতিনিধিত্ত্ব করেন ,তারা আরো ভালো প্রজেক্ট নিয়ে আসতে পারেন আমাদের শ্রীমংগলের জন্য ।

কিছু না বলা কথা :

এবার আসি একটু ভিন্ন কথায় । ছোটোবেলা থেকে বাবা সবসময় আমার সামনে একটাই অপশন সবসময় খোলো রেখেছেন ,সেটা হলো শিক্ষা। যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই সিলেটি মেয়েদের  সবাই কম বয়সে দেশের বাইরে বিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপরে লেগে থাকেন , সেখানে বাবা সবসময় বলেছেন ,”নিজের পায়ে দাড়াও ,শিক্ষিত হও”। কিন্তু আমার কাছে এখন মনে হয় শিক্ষিত হওয়ার চেয়ে ভালো মানুষ হওয়াটা অনেক বেশী জরুরী । কারন  আশেপাশের অনেক ডিগ্রীধারি নামেমাত্র শিক্ষিতদের দুর্নীতি এবং অনিয়ম করতে  দেখে আর ভরসা পাইনা বরং হতাশ হই । তাই এখন মনে হয় ,রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসুক ।বারবার রাজনীতির কথা বলছি ,কারন রাজনীতিবীদরাই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্নে দায়ীত্ত্বে থাকেন, সংসদে আমাদের একজন হয়ে কাজ করেন । আমরা এমন কাউকে নেতৃত্ত্বে দেখতে চাই যে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের এর জন্য সুন্দর একটি সমাজ ব্যাবস্থাকে উপহার দিয়ে যাবে ,দক্ষ তরুন সমাজ গড়ে তুলবে কারন কিছুদিন পরেই আমাদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হবে এবং  মানুষে মানুষে বিভেদ সৃস্টি না করে একটি মানবিক পৃথীবির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিবে । যাদের দেখে আমরা সমাজ ব্যাবস্থা  , দায়িত্ত্বপ্রাপ্তদের, রাজনীতিবীদ এবং  রাজনীতিকে ঘৃনা করবনা,বরং সবাই এক হয়ে কাজ করার জন্য আগ্রহী হবো ।

আমি চাই ,মানুষ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোক ,কথা বলুক ,অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলুক ,যারা ঠিক মত কাজ করেন না তাদের সাথে বসে আলোচনা করুক ,এরপর কাজ না হলে তাদের তোষামোদ না করে বয়কট করুক। নীরব থেকে আমরা নিজেদের ক্ষতি করছি । ক্ষমতা যার হাতেই থাকুক, আমার প্রজন্মের কাছে ক্ষমতা মানে পবিত্রতা। ক্ষমতা পাওয়া মানে অন্যকে নিয়ন্ত্রন করা নয় ,ক্ষমতা মানে জনগনের কাধে হাত রেখে বলা , “আমি পাশে আছি”। পাশে না থেকে যারা আরো সমস্যার সৃস্টি করেন ,তাদের জন্যই মানুষ আজ রাজনৈতিকভাবে সচেতন না, সামনে উনাদের সালাম দেয় এবং পেছনে গালি দেয় । আমি এই নীরব যুদ্ধ্ব সবাইকে নিয়ে জীতে যেতে চাই ,যেখানেই কথা বলার সুযোগ পাই ,সেখানেই আমার প্রজন্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলে যাই ,আরো বলতে চাই ।আর এতোক্ষন যা বললাম ,সব তারই প্রতিফলন ,আমার প্রজন্মের না বলা কথা ,জমে থাকা ক্ষোভ।

পরিশেষে আমি বলতে চাই , “আমরা করবো জয়”।