আপনি কি জানেন? স্বাস্থ্যকর উপায়ে, ওজন কমাবেন কিভাবে? কারন অতিরিক্ত  ওজন সুস্থ্য থাকার অন্তরায়।ওজন কমানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আপনি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে কতটুকু  সুস্থ আছেন?অতিরিক্ত ওজন এর ফলে আমাদের শরীরে অনেক ভয়বহ রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং নানা রকমের রোগ বাসা বাধে  । তাই সুস্থ থাকার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রন করা খুব জরুরী ।কিন্তু ওজন কমাতে গিয়ে শারীরিক এবং মানষিকভাবে সুস্থ থাকাটাও অনেক বেশী দরকারী, আর এখানেই সচেতনার অনেক অভাব রয়েছে আমাদের দেশে (খাদ্যাভাস, বন্ধ্যাত্ত্ব, প্রজনন তন্ত্র এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের উর্বরতা )।

যেই ওজন অনেক সময় ধরে বেড়েছে , সেই ওজন কিভাবে দশ দিনে , পনের দিনে কমানো যায়? কতটুকু স্বাস্থ্যকর ?আপনি কি জানেন, স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাবেন কিভাবে?হ্যা , এখনকার সব ট্রেন্ডি ডায়েট ,এই যেমন কিটো ডায়েট, মিলিটারি ডায়েট , এগ ডায়েট , লো কার্ব ডায়েট এর কথাই বলছি । ইন্টারনেটে এসব কন্টেন্ট এতো বেশি বেড়ে গেছে ,যা রীতিমত ভয়ংকর পর্যায়ে চলে গিয়েছে । আর বাংলাদেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যারা এসব ভিডিও বানাচ্ছেন , তারা কেউই health science background এর না ,আর সমস্যাটা এখানেই ।এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক মেয়েদের গ্রুপ আছে ,যেখানে সবাই নিজেদের ডায়েট এবং অন্যান্য জীবনযাত্রা শেয়ার করেন ,যা রীতিমত ভুল । যারা এসব জীবনযাত্রা ফলো করছেন ,এটা তাদের দোষ না ,কিন্তু আমাদের একটু সচেতন হওয়া উচিত এসব ব্যাপারে।জানতে হবে, ওজন কমাবেন কিভাবে?

স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাবেন কিভাবে?

আমি সবার সাথে কিছু পরামর্শ শেয়ার করছি , স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাবেন কিভাবে?যা একটি সুস্থ জীবনযাত্রার প্রধান উপকরন এবং natural disease management এ সাহায্য করে । আর এসব ফলো করলেই ওজন নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব । ওজন কমানোর চেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রন করা বেশী উপযোগী শব্দচয়ন। আমাদের জীবনে ওজন কমানো কোনো দৌড় প্রতিযোগিতা না  যে , সবার আগে দৌড় দিয়ে জিতে যেতে হবে। আস্তে আস্তে আত্নবিশ্বাসের সাথে ,নিজেকে কস্ট না দিয়ে ,ওজন কমাতে হবে, ডায়েটিশিয়ান অথবা নিউট্রিশনিস্ট এর পরামর্শ ছাড়া ইন্টারনেট দেখে কোনো অসাস্থকর খাদ্যতালিকা অথবা জীবন যাত্রা ফলো করা যাবে না ।

এবার আসুন জেনে নিই ,সুস্থ থাকার জন্য এবং স্বাভাবিকভাবে রোগ প্রতিরোগ এবং প্রতিকারের জন্য আমরা কি কি  নিয়ম কানুন মেনে চলতে পার। আর এই নিয়ম কানন গুলো মেনে চললেই ওজন নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ।

ওজন কমাবেন কিভাবে?

১) স্থানীয় খাবার:

আমাদের দেশে যেসব খাবার খুব সহজেই পাওয়া যায় ,প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সেসব খাবার রাখতে হবে। দেশের বাইরে থেকে আসা কোনো খাবার যদি খেতে হয় ,তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে ,এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই । একটু ব্যাখ্যা করি ।আমাদের দেশের আবহাওয়া ,পরিবেশ এবং আমাদের জিনোমিক সিকুয়েন্স অন্যান্য দেশের থেকে সম্পূর্ন আলাদা । তাই অন্য দেশের স্বাস্থ্যকর খাবার আমার দেশের মানুষের জন্য সবসময় ভালো হবে , এমন কোনো কথা নেই । ধরেন,ইন্টারনেটের অবাধ কন্টেন্ট দেখে আপনি ওজন কমাতে গিয়ে,দেশের বাইরে থেকে আসা , অনেক দামী  ব্রাউন রাইস খাওয়া শুরু করলেন অথবা ছিয়া সিড । কিন্তু ব্রাউন রাইস না খেয়ে যদি আপনি গ্রাম থেকে এক ধরনের ভাঙ্গা চাল পাওয়া যায় , সেটা খাওয়া শুরু করতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের জন্যই ভালো ।আবার ধরেন এভোক্যাডো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় না রেখে দেশী চিনা বাদাম রাখেন , এভোক্যাডো অন্য দেশের সুপার ফুড ,বাংলাদেশের না । এজন্যই বলছি , ওজন কমানোর জন্য ,চিকিতসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো খাদ্যতালিকায় অভ্যস্থ হবেনা না ।আর এমনিতেই স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রার জন্য আমাদের দেশের স্থানীয় খাবারে অভ্যস্ত হতে হবে।

 

2) সময় নিন, ধৈর্য এবং আত্নবিশ্বাসের সাথে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাকে অভ্যাসে পরিনত করুনঃ

আমাদের দেশে এবং দেশের বাইরে, ইন্টানেটে অনেক জনপ্রিয়  ভিডিও আছে ,যেখানে দশ দিনে ,পনেরও দিনে ওজন কমানোর কথা বলা হয় এবং এসব দেখে অনেকেই ওজন কমানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে যান, কেউ কেউ আবার ভিডিও ব্লগ করেন  ।তারপর অনেকের ঠিকই ওজন কমে ,এবং কারো কারো ক্ষেত্রে ওজন এরপরে আরো দ্বিগুন হারে বাড়তে থাকে,পরবর্তীতে যখন এই ডায়েট চার্ট ফলো করতে পারেন না ।তারপর আবার স্কিন প্রমলেম , চুল পড়া ,মাথা ব্যাথা ,মেজাজ খিটখিটে হওয়া শুরু হয় । আমি নিজেই অনেক গ্রপে অনেকের এমন পোস্ট দেখেছি । যেই ওজন আপনার মাসের পর মাস,বছরের পর বছর সময় নিয়ে বেড়েছে ,সেই ওজন দশ পনের দিনে কমানোর সাহস আপনি কিভাবে করেন? প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করলে সেটা ক্ষতিকর । সময় নিন , ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আস্তে আস্তে আত্নবিশ্বাসী হয়ে , ধৈর্য নিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রন করা শুরু করুন । অসাস্থকর পদ্ধ্বতি অবলম্বন করতে গিয়ে deprived  feel করা যাবে না ,মানষিকভাবে অস্বস্থিতে পড়া যাবেনা। অবশ্যই জানতে হবে, স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাবেন কিভাবে?

৩) Exercise:

নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করতে হবে, আর একবারেই না পাররে হাটতে থাকুন । শরীর চর্চা শুধু ওজন নিয়ন্ত্রন করতেই সাহায্য করেনা ,বরং এটি আমাদের মানষিকভাবে সুস্থ রাখে , স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলকে কমিয়ে আনে ।স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কিভাবে কমাবেন? এটার প্রধান সমাধান হলো ,নিয়মিত শরীড় চর্চা করা।

৪) কোনটা good ,কোনটা bad জানতে হবেঃ

ভাত  বা শর্করা জাতীয় খাবার খেলেই মোটা হয়ে যাবো ,এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা । Carbohydrate দুই প্রকার , good  Carbohydrate এবং  bad Carbohydrate. সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলার জন্য আপনাকে good  Carbohydrate খেতে হবে। আপনি যখন ওজন কমাতে গিয়ে , কিটো ডায়েট এর মত খাদ্যতালিকা ফলো করে এবং   পরিমিত পরিমানে good  Carbohydrate খাওয়া বাদ দেন ,তখন অনেক সমস্যা দেখা দেয় । স্কিন প্রবলেম ,চুল পড়া , এনার্জি কম পাওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয় । মেয়েদের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য একটি ভয়াবহ সাইন । কারন কোষ্ঠকাঠিন্য রেক্টাম এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ আরো অনেক রোগের সম্ভাবনা বাড়ায় । তাই আমাদের জানতে হবে কোনগুলো good  Carbohydrate, কোনগুলো bad  Carbohydrate, কোনগুলো good  protein, কোনগুলো bad  protein, কোনগুলো good  fat, কোনগুলো bad  fat. চকলেট খেলে মোটা হয়ে যাবেন? ভুল ! ডার্ক চকলেট এ আছে গুড ফ্যাট,নির্ভয়ে খেতে পারেন,তবে পরিমিত পরিমানে । মনে রাখতে পারে, anything excess in amount is toxic even if it is considered as a healthy food. . তাই স্বাস্থ্যকর খাবার হলেই যে বেশি খেতে পারবেন ,ব্যাপারটা এমন না । পরিমিত পরিমানে যেকোনো খাবারই আপনি খেতে পারেন । এজন্য জানতে হবে কোন খাবার গুলো ভাল , কোনগুলো খারাপ ,আর সেই সাথে পরিমানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যত বেশি জানবেন, তত বেশি বুঝতে পারবেন,  ওজন কমাবেন কিভাবে? এবং সেটা স্বাস্থ্যকর কিনা?

৫)মনযোগ দিয়ে এবং চিবিয়ে খাওয়াঃ

খাওয়ার সময় শুধু খাবেন ,অন্য কোনো কাজ করবেন না । টিভি দেখা , গান শুনা , ইন্টারনেট ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আর বেশি করে চিবিয়ে খান । রিসার্চ বলে,  আমাদের খাবার চিবানোর সময় মুখের ভেতরই ৫০ ভাগ হজম হওয়া উচিত এবং বাকি ৫০ ভাগ পাকস্থলিতে । আর আপনি যখন বেশি চিবিয়ে খাবেন ,তখন পেট বেশি ভরবে এবং আপনি বেশি খাবার খেতে পারবেন না । মনোযোগ দিয়ে খাবার খাওয়া অভ্যাস তাহলে শুরু হোক আজকে থেকে, কি সম্ভব?

৬) পানি পান করার আর্ট জেনে নিনঃ

সকাল শুরু করুন পানি খাওয়া দিয়ে । খাবারের আগে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন । জানি ,খাবারের সময় এবং পরে পানি না খাওয়া অনেকের জন্য কস্টকর ,কিন্তু আস্তে আস্তে সময় নিয়ে প্রেক্টিস করলে সম্ভব। খাবারের মধ্যে পানি খাবেন না ।অন্তত ভারী খাবার খাওয়ার পর আধা ঘন্টা পানি না খেয়ে থাকুন ,এতে হজম ভালো হবে। জানি শুরুতেই কস্ট হবে, তবে বিশ্বাস করুন ,একবার অভ্যাস করে ফেললে আপনি অনেক শান্তি পাবেন ।প্রথমে হয়তো খাবার পরে একটু সময় পানি না খেয়ে অপেক্ষা করলেন ,তারপর আস্তে আস্তে সময় বাড়ালেন । খাবারের পরে অন্তত এক ঘন্টা পানি না খেয়ে থাকতে পারা ভালো ,প্রথমে কস্ট হবে অভ্যাস করতে ,কিন্তু একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে, পরবর্তীতে খাওয়ার সাথে সাথে পানি খেলে খারাপ লাগবে । আর খাওয়ার সাথে সাথেই অনেক সময় আমাদের মনে হয় “পেট ভরেনি । অপেক্ষা করেন, রিসার্চ বলে , খাওয়ার পরে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে আমাদের ব্রেইনে সিগনাল যেতে । তাই খাওয়ার পর অপেক্ষা করুন । অনেক সময় আমরা তৃষ্ণার্থ থাকি , কিন্তু আমরা মন করে ক্ষিদা লেগেছে ।তাই ক্ষিদা লাগলে আগে পানি খেয়ে নিন , তারপর যদি মনে হয় যে আসলেই খিদা লেগেছে ,তাহলে কিছু খেয়ে নিতে পারেন, the idea is not to start binging .

) শখের পরিচর্যা করা :

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি ,আপনাকে মানষিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে , নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য । তাই যতই ব্যাস্ত থাকুন না কেনো , যে কাজগুলো আপনাকে ভালো লাগা দেয় , সেগুলো করুন । হতে পারে সেটা রাতের আকাশে তারা দেখা ,অথবা ছবি দেখা ,বই পড়া,একা একা কথা বলা ,রান্না করা ,যেকোনো কিছুই হতে পারে। নিজের সাথে একা একা সময় কাটান এবং নিজের পছন্দের কাজ করুন ,নিজের পছন্দের খাবার পরিমিত পরিমানে বাসায় বানিয়ে খান । আমার যখন কিছু ভালো লাগে না , অনেক কাজের চাপ থাকে , আমি সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে একা একা গান গাই । Find your ones ,please!

৮) Minimal life lead করা:

রিসার্চ বলে আপনি যত বেশি  জিনিসপত্র ব্যাবহার কমিয়ে আনবেন, আপনি তত বেশী সুখী হবেন,যা আপনাকে শারীরিক এবং মানষিক ভাবে সুস্থ রাখবে । টাকা থাকলেই আপনাকে সবকিছু কিনতে হবে , করতে হবে ,এমনটা হওয়া উচিত না । অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যকে সাহায্য করুন ,এতে অনেক সুখ আছে । কাউকে সাহায্য করতে না পারলে অন্তত বিপদে ফেলবেন না । নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন । আশেপাশের মানুষের প্রতি যত্নশীল হোন। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে। যাদের সাথে লাইফের গোলস মিলে যাবে ,যারা আপনার ভালো কাজের  প্রশংসা করে এবং একই সাথে আপনার গঠন মুলক সমালোচনা করে তাদের সাথে সময় কাটান । নেতিবাচক মানুষকে না বলুন, কারন কথায় আছে , You are average of the 5 people you are connected with and people you are connected with have a higher impact on reaching your goals both in personal and professional life .

৯) One day challenge for everyday:

প্রতিদিন একটি নতুন ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সেটাকে continue করুন ।একদিনেই আপনি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ হতে পারবেন না , সময় নিয়ে অভ্যাস গড়ে তুলুন ,এতে করে নিজে মানষিক ভাবে বিপর্যস্থ হবেন না । এই যেমন ,একদিন সাদা চিনি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন , চিনির পরিবর্তে খাটি মধু অথবা খাটি গুড় দিয়ে চা কফি খেতে পারেন। অন্য আরেকদিন হয়তো শুধু vegetarian or vegan diet ফলো করলেন ।আরেকদিন হয়তো বাইরের ফাস্ট ফুড খেলেন না ।অন্য আরেকদিন কোন মানুষকে নিয়ে  বাজে কথা বলা অথবা অকারনে  অন্যের ভুল ধরা  থেকে বিরত থাকলেন ।আরও একদিন হয়তো কথা বলার সময় অন্যকে হার্ট না করার জন্য , নিজের ভয়েস টোন সুন্দর করে  কথা বলার অভ্যাস করলেন , সুন্দর শব্দ ব্যাবহার করলেন( Are you ready for this great kindness act???????????) । একদিন হয়তো ইন্টারনেট অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাবহার কমিয়ে দিয়ে, পরিবারের সাথে সুন্দর কিছু সময় কাটালেন ,মোবাইলের ক্যামেরায় হয়তো সেই মুহুর্তগোলো বন্দি হবে না , কিন্তু মনের মধ্যে এই মুহুর্তগুলো আজীবন গেথে থাকবে।

আর এভাবে প্রতিদিন একটি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং প্রতিদিনের জীবনে তা প্রয়োগ করুন ।

১০) মন খারাপ না করাঃ

মেয়েদের অতিরিক্ত ওজনের পেছনে অনেক কারন থাকতে পারে। এই যেমন , hormonal imbalance , genetically imbalanced , polycystic ovarian syndrome , irregular period , infertility insulin résistance , stress and gender based violence ইত্যাদি । এসব কারনে অনেকে মেয়েদের ওজন নিয়ন্ত্রন করতে একটু কস্ট হয় এবং সময় লাগে । তাই কেউ বাজে কথা বললে মন খারাপ না করে দোয়া করেন ,যাতে এসব কথা বলা মানুষগুলোর আত্নশুদ্ধি হোক,পরিবর্তন হোক । অন্যের কথায় নিজের মন খারাপ করা যাবেনা ।আর  আমাদের সবার উচিত অন্যের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কমেন্ট না করা। Be kind and sensible with your words please ,and mind your own business ,কারন কেউ শখ করে মোটা হতে চায়না ।

১১)রোজা রাখা অথবা Fasting করা:

ধর্মীয়ভাবে আমরা যেভাবে রোজা রাখি ,সেটা তো জানি অথবা একটি নির্দিস্ট সময়ে করি । কিন্তু আমরা চাইলেই সারাবছর এই ভালো অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারি ,এতে করে আমাদের স্বাভাবিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় । একটু ব্যাখ্যা করি । মনে করেন , আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্র একটি মেশিন । আমরা যখন সারাদিন খেতে থাকি ,তখন এই মেশিন খাবার পরিপাক করার জন্য চলতেই থাকে , বিশ্রাম পায় না । চিন্তা করে দেখুন তো , একটি মেশিন যদি সারাদিন চলতে থাকে ,তাহলে দিন দিন তো মেশিনের কর্মক্ষমতা হারায় ,তাই না?আমরা যখন সারদিন খাই, তখন আমাদের পরিপাকতন্ত্র এবং পাকস্থলি, সেটাকে ভেঙ্গে পরিপাক করতে ব্যাস্ত থাকে ,তখন আমাদের শরীর থেকে বেশি এনার্জি ব্যাবহার করে ,আর এতে করে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমরা হারাই ।তাই রোগ প্রতিরোধে রোজা রাখা খুব উপকারী । রিসার্চ এর মতে, ষোল ঘন্টা কিছু না খেয়ে থাকতে হবে , যদি intermittent fasting করেন ,তাহলে শুধু সাদা পানি খেতে পারবেন ।আর Dry fasting করলে কোনো কিছুই খাওয়া যাবে না ,এমনকি গোসলও করা যাবে না । সপ্তাহে যতদিন পারেন এই ফাস্টিং করতে পারেন । ষোলো ঘন্টা অনেক বেশি মনে হচ্ছে? রাতের খাবারের পর থেকে সময় গননা করেন ।ডিনার ৯ টায় যদি করেন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরেন  ,তাহলে ঘুমের মধ্যেই তো ৮ ঘন্টা শেষ , আর পরের দিন ৯ টায় বারো ঘন্টা হবে । প্রথমে কস্ট হলে বারো ঘন্টাই করুন এর পর আস্তে আস্তে ষোলো ঘন্টায় নিয়ে যান । মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করা যাবে না , খিদা লাগলে খাবেন ,listen to the signals of your body . আমরা কিন্তু মনের অজান্তেই ঘুমের মধ্যে ফাস্ট করি, সময়টা একটু ব্যালেন্স করলেই হবে। আর সর্দি ,কাশি ,জর ,মাথা ব্যাথা হলে ভারী খাবার বন্ধ  করুন ,তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। ফলের রস ,ফল খেতে পারেন শুধু। অসুস্থ হলে সবাই যেভাবে খাবার দিয়ে সেবা শুরু করেন ,এটা ভুল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে বলেই আমরা অসুস্থ হই ,এসময় বেশি খেলে আমাদের শরীর বেশি শক্তি খাবার পরিপাকে ব্যায় করে ,এতে করে সুস্থ হতে দেরি হয় ।

১2) Balance করা:

দাওয়াত খেতে গিয়ে একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেলে ওইদিন একটু বেশি ব্যায়াম করে নিন অথবা একটু বেশি হেটে নিন । প্রসেসড ফুড খাওয়া বাদ দিতে না পারলেও কমিয়ে আনতে হবে। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ভিনেগার খেয়ে থাকেন যা আমাদের নরমাল hunger কে কমিয়ে আনে । এসব ভিনেগার এর হয়তো উপকারীতা আছে অনেক ,কিন্তু এসব বাদ দিয়ে আমরা ভিটামিন সি আছে এমন ফল ক্ষেতে পারি যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কাটতে সাহায্য করবে। এপল সিডার ভিনেগার না খেয়ে ,লেবুর রস খেতে পারেন ।চর্তি কখন জমে শরীরে? যখন আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন ,শরীর তার প্রয়োজনীয় ক্যালরিকে শক্তিতে পরিনত করে আর বাকিটূকু আমাদের শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হয় । তাই অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে,।

কোনো সার্কেলে নিজেকে মানিয়ে নিতে কস্ট হলে অথবা সেই মানুষগুলোকে নেতিবাচক মনে হলে, নীরবে সরে আসুন । ভুল করলে সরি বলা শিখুন । অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করুন।

১৩) শরীর থেকে Toxin দূর করাঃ

আমাদের শরীরে যত রোগ হয় ,সবকিছুর প্রধান কারন হলো টক্সিন । পরিবেশ , শ্বাসপ্রশ্বাস , অসাস্থকর এবং ভেজাল খাবার আমাদের শরীরে টক্সিনের সৃস্টি করে এবং অনেক দিন পর্যন্ত জমা থাকে এবং পরে ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক ভয়াবহ রোগ হয় । তাই এইসব ক্ষতিকর পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে রোদে দাড়াতে পারেন ,সকাল নয়টার আগে এবং বিকেল ৪ টার পরে । এছাড়াও কসমেটিক্স প্রডাক্ট ব্যাবহারে সতর্ক হতে পারেন , ভাজাপোড়া ,গ্রীল অথবা ঝলসানো খাবার খাওয়া কমিয়ে আনতে পারেন ,খাবার বেশি সেদ্ধ্ব করা বাদ দিতে পারেন।

১৪)পরিবারঃ

পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক রাখার কোনো বিকল্প নাই । প্রথম এবং শেষ ঠিকানা পরিবার । মানষিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য পরিবারই একমাত্র ভরসার জায়গা , পরিবার যখন পাশে থাকে অনেক সমস্যাকেই সমস্যা মনে হয়না।

১৫) নিজের সাথে সময় কাটানঃ

নিজেকে অনেক বেশি সময় দিন। নিজেই নিজের ভালো বন্ধু হয়ে উঠুন।

১৬) পরিমিত পরিমানে ঘুমাতে হবে।

১৭) Last but not least , Practice guilt free eating:

ক্যালরি মেপে নিজেকে মানষিকভাবে কস্ট না দিয়ে , যাই খাচ্ছেন ,সেটাকে পরিমিত পরিমানে খান ,Regret  করে খাওয়া enjoy করা যায় না ।

ওজন কমাবেন কিভাবে?

এই ১৭ টি পয়েন্ট প্রাথমিকভাবে একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাত্রার জন্য খুবই দরকারী এবং স্বাভাবিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আর এর ধারাবাহিকতায় আপনি চাইলেই ওজন নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন ।প্রত্যেকটি মানুষের physiological factors such as , বয়স ,উচ্চতা ,ওজন , জেনেটিক্স , রোগ ,জীবনযাত্রা  ইত্যাদি সম্পূর্ন ভিন্ন , তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ডায়েট চার্ট ফলো করবেন না । নিজেকে কস্ট না দিয়ে ধীরে ধীরে সময় নিয়ে ওজন কমানোর এই পথচলায় আপনাকে স্বাগতম।

বিভিন্রোন গ সম্পর্কে সম্পর্কে  জানতে ক্লিক করুন :

Know your HAPPY DISEASES

 

রোদের আলো সুস্থ থাকার জন্য কতটা জরুরী জানতে ক্লিক করুন নিচে দেয়া লিংকেঃ

 

রোদের আলোয় মুক্তি