অনিয়মিত মাসিক মেয়েদের খুব প্রধান একটা সমস্যা ।যারা বয়সন্ধিতে আছেন ,তাদের মধ্যে এই সমস্যাটা আরো প্রকট। এছাড়াও অনেক সময় অনেকে ক্ষেত্রেই মাসিক অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে যার প্রভাব ব্যাক্তিগত জীবনে খুব বেশি পড়ে ,যা হয়তো দেখা যায় না শুধু নিজেই অনুভব করা যায়। আর অনিয়মিত মাসিকের পেছনে  অনেকগুলো কারনের মধ্যে  পলিসিস্টিক অভারি সিনড্রোম/Polysystic Ovary Syndrome (PCOS) অন্যতম।মেয়েরা এই একটা সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগে। যখন একটা মেয়েরপলিসিস্টিক অভারি সিনড্রোম  হয় ,তখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ,অথবা খুব অনিয়মিত হয় অথবা ব্যাথা হয় । এটা হচ্ছে মেইন উপসর্গ ! এছাড়াও আরো কিছু উপসর্গ  আছে :

  • ওজন খুব বেড়ে যায় , বাড়তেই থাকে ,কমে না
  • শরীরের বিভিন্ন অংশে লোম গজায় অথবা লোমের পরিমান বেড়ে যায়
  • ব্রন হয়
  • তল পেটে ব্যাথা হয় অথবা অন্য কোথাও
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়
  • প্রেগনেন্সিতে তে মারাত্তক সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • আর ওজন বেড়ে যাওয়ার কারনে অনেক রোগ দেখা দিতে পারে

আর এই পলিসিস্টিক অভারি সিনড্রোম দেখা দেয় ,যখন পুরুষের হরমোন  (এন্ড্রেজেন) মেয়েদের শরীরে তৈরী হতে থাকে,এটা অনেক কারনেই হতে পারে ,ভয় পাবার কিছু নেই ।কিন্তু অনেক গবেষনায় দেখা গেছে ” জন্মবিরতিকরন পিল খেলে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে ,তখন মাসিক নিয়মিত  হতে থাকে ! কেনো জানেন ? কারন ওই জন্মবিরতিকরন পিল তৈরী করা হয় ফিম্যাল হরমোন  দিয়ে ! আর  পলিসিস্টিক অভারি সিনড্রোম/ এর প্রধান কারন ই হলো মেয়েদের বডিতে ফিমেল হরমোন এর বদলে পুরুষের হরমোন বিরাজ করে। আর তাই , যদি কোনো কারনে মাসিক ঠিকমতো না হয় ,ডাক্তার এর সাথে কথা বলে আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়ে নিতে হবে প্রথমেই ,কারন অনেক ক্ষেত্রে পেইন থাকেনা ,তখন কিভাবে বুঝবেন যে আপনার অভারি ঠিকমত কাজ করছেনা অথবা অভারিতে সিস্ট আছে? সেক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেই বোঝা যাবে আপনার অভারি ঠিকঠাক আছে কিনা । আর সেই সাথে অনিয়মিত মাসিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ,লজ্জ্বা/দ্বিধা ভুলে জন্মবিরতিকরন পিল গ্রহন করতে হবে অথবা সঠিক চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ,নিজের সমস্যার কথা খুলে বলতে হবে ,জানতে হবে এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে।