মেয়েরা খুব তাড়াতাড়ি রেগে যায় …মেয়েদের মন মেঘলা আকশের মত  … মেয়েদের মনের গভীরতা মাপা যায় না …অথবা মেয়েরা একেকবার একেক কথা বলে…অনেক তাড়াতাড়ি মুড বদলে যায় …মেয়েরা হঠাত করেই ক্ষেপে যায় …মেয়েরা বেশি ইমোশনাল কারন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ঘরের বাইরে কাজ কম করতে হয় তাই মেয়েদের মধ্যে বাস্তবতা কম … মেয়েরা কাদে বেশি —– আমাদের সমাজে এই কথাগুলো সুপ্রতিষ্ঠিত।. অস্বীকার না করেই এর বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখায় যাচ্ছি … মেয়েদের এই বার বার  মানষিক পরিবর্তনের   প্রধান কারন ” মাসিক চক্র ( 28 days menstrual cycle )”।যদিও বলা হয় মেয়েদের মাসিকের কারনেই এমন মন খারাপ,মেজাজ খারাপ , ক্ষেপে যাওয়া ,ইমোশনাল , কান্নাকাটি ইত্যাদি ছেলেদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে ,কিন্তু শুধু এই ৪-৭ দিনের মাসিকেই এমন হয় না। মাসিকের ৭-১৪ দিন আগের সময়টাকে বলে  পিএমএস/PMS(pre-menstrual syndrome)। ফিম্যাল রিপ্রডাক্টিভ সিস্টেমের এর প্রধান অংগ হল অভারি (ovary)। আর এই অভারিতে দুই ধরনের ফিম্যাল হরমোন তৈরী করে।

  1. ইস্ট্রোজেন (Estrogen )
  2. প্রোজেস্টেরন (Progesterone)

 

আর পিএমএস/PMS (pre-menstrual syndrome) এর সময় এরা ইঊটেরাসে লাইনিং তৈরী করে।আর ঠিক এই সময়টাতেই মেয়েদের নানা ধরনের মানষিক এবং শারীরিক পরিবর্তন হইয়ে থাকে যেমন কথায় কথায় রেগে যাওয়া ,ক্ষেপে যাওয়া , মন খারাপ হওয়া ,কান্নাকাটি করা ,বিরক্ত লাগা ,ঘুম না হওয়া ,মুখে ব্রন হওয়া ,ওয়েট বেড়ে যাওয়া ,শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা পাওয়া ,বমি হওয়া,খাওয়ায় অরুচী ইত্যাদি হয়ে থাকে। .এই  পিএমএস/PMS এর সময় মেয়েদের  সেরোটোনিন(SEROTONIN)   এর পরিমান কমে যায় যা কিনা ডিপ্রেশন এর দিকে নিয়ে যেতে পারে  এবং সেই সাথে গাবা (GABA) এর পরিমানও কমতে থাকে .আর এসব কারনেই  মেয়েদের কে শারীরিক পরিবর্ত্নের পাশাপাশি অনেক ধরনের মানষিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ,যা কিনা অনেকের  কাছে ভালো নাও লাগতে পারে । আসুন ,আমরা এইসব প্রেক্ষাপটে মেয়েদেরকে মানষিক সাহায্য দিয়ে যাই ,যাতে করে এই হরমোনাল পরিবর্তন কারো এগিয়ে যাবার পথে বাধা না হয়ে দাড়ায়।